فَتَلَقّٰٓى اٰدَمُ مِنْ رَّبِّهٖ كَلِمٰتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ ۗ اِنَّهٗ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ ( البقرة: ٣٧ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তারপর আদাম (আ.) তার প্রতিপালকের নিকট হতে কিছু বাণী প্রাপ্ত হল, অতঃপর আল্লাহ তার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করলেন, তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
English Sahih:
Then Adam received from his Lord [some] words, and He accepted his repentance. Indeed, it is He who is the Accepting of Repentance, the Merciful.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
অতঃপর আদম তার প্রতিপালকের নিকট হতে কিছু বাণী প্রাপ্ত হল। (১) আল্লাহ তার তওবা (অনুশোচনা) কবুল করলেন। নিশ্চয় তিনি তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।
(১) আদম (আঃ) লজ্জিত অবস্থায় দুনিয়ায় আগমন ক'রে তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনায় মনোনিবেশ করলেন। এই সময় মহান আল্লাহ তাঁর দিক-নির্দেশনা ও সহযোগিতা ক'রে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার সেই বাক্যগুলো শিখিয়ে দিলেন, যা সূরা আ'রাফে ৭;২৩ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। {قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا...} কেউ কেউ এখানে একটি জাল হাদীসের আশ্রয় নিয়ে বলেন যে, আদম (আঃ) আল্লাহর আরশের উপরে 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' লেখা দেখেন এবং মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর অসীলা গ্রহণ ক'রে দুআ করেন; ফলে আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দেন। এটা ভিত্তিহীন বর্ণনা এবং ক্বুরআনের বর্ণনারও পরিপন্থী। এ ছাড়া এটা আল্লাহর বর্ণিত তরীকারও বিপরীত। প্রত্যেক নবী সব সময় সরাসরি আল্লাহর নিকট দুআ করেছেন। অন্য কোন নবী ও অলীর মাধ্যম ও অসীলা ধরেননি। কাজেই নবী করীম (সাঃ) সহ সকল নবীদের দুআ করার নিয়ম এটাই ছিল যে, তাঁরা বিনা অসীলা ও মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে সরাসরি দুআ করেছেন।