Skip to main content

قَالَ يٰٓاٰدَمُ اَنْۢبِئْهُمْ بِاَسْمَاۤىِٕهِمْ ۚ فَلَمَّآ اَنْۢبَاَهُمْ بِاَسْمَاۤىِٕهِمْۙ قَالَ اَلَمْ اَقُلْ لَّكُمْ اِنِّيْٓ اَعْلَمُ غَيْبَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۙ وَاَعْلَمُ مَا تُبْدُوْنَ وَمَا كُنْتُمْ تَكْتُمُوْنَ   ( البقرة: ٣٣ )

He said
قَالَ
তিনি বললেন
"O Adam!
يَٰٓـَٔادَمُ
''হে আদম
Inform them
أَنۢبِئْهُم
তাদেরকে অবহিত করো
of their names"
بِأَسْمَآئِهِمْۖ
তাদের নামগুলো সম্পর্কে''
And when
فَلَمَّآ
অতঃপর যখন
he had informed them
أَنۢبَأَهُم
সে তাদেরকে অবহিত করল
of their names
بِأَسْمَآئِهِمْ
তাদের নামগুলো
He said
قَالَ
তিনি বললেন
"Did not
أَلَمْ
''আমি কি
I say
أَقُل
বলি নি
to you
لَّكُمْ
তোমাদেরকে
Indeed, I
إِنِّىٓ
নিশ্চয়ই
[I] know
أَعْلَمُ
আমি জানি
(the) unseen
غَيْبَ
অদৃশ্যকে
(of) the heavens
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশ সমূহের
and the earth
وَٱلْأَرْضِ
ও পাৃথিবীর
and I know
وَأَعْلَمُ
এবং আমি জানি
what
مَا
যা
you reveal
تُبْدُونَ
তোমরা প্রকাশ কর
and what
وَمَا
ও যা
you [were]
كُنتُمْ
তোমরা
conceal"
تَكْتُمُونَ
গোপন করো''

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তিনি নির্দেশ করলেন, ‘হে আদাম! এ জিনিসগুলোর নাম তাদেরকে জানিয়ে দাও’। যখন সে এ সকল নাম তাদেরকে বলে দিল, তখন তিনি বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের অদৃশ্য বস্তু সম্পর্কে আমি নিশ্চিতভাবে অবহিত এবং তোমরা যা প্রকাশ কর ও গোপন কর, আমি তাও অবগত’?

English Sahih:

He said, "O Adam, inform them of their names." And when he had informed them of their names, He said, "Did I not tell you that I know the unseen [aspects] of the heavens and the earth? And I know what you reveal and what you have concealed."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তিনি বললেন, ‘হে আদম! ওদেরকে (ফিরিশতাদেরকে) এদের (এ সকলের) নাম বলে দাও।’ অতঃপর যখন সে তাদেরকে সে-সবের নাম বলে দিল, তখন তিনি বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বস্তু সম্বন্ধে আমি অবহিত এবং তোমরা যা ব্যক্ত কর বা গোপন রাখ নিশ্চিতভাবে আমি তা জানি?’ (১)

(১) 'আসমা' তথা নামসমূহ বলতে ব্যক্তিবর্গ ও জিনিস-পত্রের নামসমূহ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ যা মহান আল্লাহ 'ইলহাম' ও 'ইলক্বা' (অন্তরে প্রক্ষিপ্ত করা)র মাধ্যমে আদম (আঃ)-কে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। অতঃপর যখন আদম (আঃ)-কে ঐ জিনিসগুলোর নাম বলতে বলা হল, তখন তিনি সত্বর তা বলে দিলেন। অথচ ফিরিশতাগণ তা পারেননি। এইভাবে আল্লাহ তাআলা প্রথমতঃ ফিরিশতাদের সামনে আদম সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটন করলেন। দ্বিতীয়তঃ দুনিয়ার নিয়ম-নীতি পরিচালনার জন্য জ্ঞানের কত গুরুত্ব এবং তার কত ফযীলত ও মর্যাদা তা বর্ণনা করে দিলেন। যখন ফিরিশতাদের সামনে (আদম সৃষ্টির) যৌক্তিকতা ও গুরুত্ব পরিষ্কার হয়ে গেল, তখন তাঁরা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধি যে অতি সল্প তা স্বীকার ক'রে নিলেন। আর ফিরিশতাদের এই স্বীকৃতি দ্বারা এ কথাও পরিষ্কার হয়ে গেল যে, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞাতা একমাত্র আল্লাহর সত্তা। তাঁর বিশিষ্ট বান্দাদের কেবল ততটাই জ্ঞান থাকে, যতটা মহান আল্লাহ তাঁদেরকে দান করেন।