وَالَّذِيْنَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُوْنَ اَزْوَاجًا يَّتَرَبَّصْنَ بِاَنْفُسِهِنَّ اَرْبَعَةَ اَشْهُرٍ وَّعَشْرًا ۚ فاِذَا بَلَغْنَ اَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيْمَا فَعَلْنَ فِيْٓ اَنْفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوْفِۗ وَاللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ ( البقرة: ٢٣٤ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তোমাদের মধ্য হতে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মারা যাবে সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে। তারপর যখন তাদের ইদ্দৎকাল পূর্ণ হবে, তখন তোমাদের নিজেদের সম্বন্ধে বৈধভাবে যা কিছু করবে তাতে তোমাদের কোন গুনাহ নেই। বস্তুতঃ তোমরা যা কিছু করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে পরিজ্ঞাত।
English Sahih:
And those who are taken in death among you and leave wives behind – they, [the wives, shall] wait four months and ten [days]. And when they have fulfilled their term, then there is no blame upon you for what they do with themselves in an acceptable manner. And Allah is [fully] Aware of what you do.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়, তাদের স্ত্রীগণ চার মাস দশ দিন অপেক্ষা করবে।[১] যখন তারা ইদ্দত (চার মাস দশ দিন) পূর্ণ করবে, তখন তারা নিজেদের জন্য কোন বিধিমত কাজ (সৌন্দর্যগ্রহণ বা বিবাহ) করলে, তাতে তোমাদের কোন পাপ হবে না।[২] তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।
[১] স্বামীর মৃত্যুর পর (শোক পালনের) এই ইদ্দত সকল নারীর জন্য, তাতে বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কায়েম হয়ে থাকুক বা না হয়ে থাকুক, যুবতী হোক বা বৃদ্ধা। অবশ্য গর্ভবতী মহিলা এই আওতায় পড়বে না। কারণ, তার ইদ্দতকাল হল সন্তানপ্রসব হওয়া পর্যন্ত। মহান আল্লাহ বলেন, "গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব হওয়া পর্যন্ত।" (সূরা ত্বালাক ৬৫;৪ আয়াত) স্বামী-মৃত্যুর এই ইদ্দতকালে মহিলার সাজ-সজ্জা করার (এমন কি সুর্মা লাগানো) এবং স্বামীর বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও বাস করার অনুমতি নেই। তবে রজয়ী তালাকপ্রাপ্তা (যাকে ফিরিয়ে নেওয়ার স্বামীর অধিকার থাকে এমন) মহিলার জন্য সাজ-সজ্জা করা নিষেধ নয়। আর তালাকে বায়েন প্রাপ্তা (যাকে যথাবিহিত ব্যবস্থা ছাড়া আর ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় এমন) মহিলার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, বৈধ এবং কেউ বলেছেন, অবৈধ। (ইবনে কাসীর)
[২] অর্থাৎ, ইদ্দত শেষ হয়ে যাওয়ার পর সে যদি সাজ-সজ্জা করে এবং অভিভাবকদের অনুমতি ও তাদের পরামর্শক্রমে অন্যত্র বিবাহ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই। কাজেই (হে মহিলার অভিভাবকগণ) তোমাদেরও কোন পাপ নেই। এ থেকে জানা গেল যে, বিধবা-বিবাহকে খারাপ ভাবা উচিত নয়, উচিত নয় তাতে বাধা দেওয়া। যেমন হিন্দু-প্রভাবিত মুসলিম সমাজে এমন আচরণ লক্ষ্য করা যায়।