لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ اَنْ تَبْتَغُوْا فَضْلًا مِّنْ رَّبِّكُمْ ۗ فَاِذَآ اَفَضْتُمْ مِّنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللّٰهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ ۖ وَاذْكُرُوْهُ كَمَا هَدٰىكُمْ ۚ وَاِنْ كُنْتُمْ مِّنْ قَبْلِهٖ لَمِنَ الضَّاۤلِّيْنَ ( البقرة: ١٩٨ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তোমাদের প্রতি কোন গুনাহ নেই যদি তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ খোঁজ কর এবং যখন তোমরা আরাফাত হতে ফিরবে তখন মাশ‘আরুল হারামের নিকট আল্লাহকে স্মরণ করবে এবং তাঁকে স্মরণ করবে যেরূপ তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন, বস্তুতঃ তোমরা এর আগে ছিলে পথভ্রষ্টদের অন্তর্গত।
English Sahih:
There is no blame upon you for seeking bounty from your Lord [during Hajj]. But when you depart from Arafat, remember Allah at al-Mash’ar al-Haram. And remember Him, as He has guided you, for indeed, you were before that among those astray.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
(হজ্জের সময়) তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ কামনায় (ব্যবসা-বাণিজ্যে) কোন দোষ নেই।[১] যখন তোমরা আরাফাত (প্রান্তর) হতে প্রত্যাবর্তন করবে, তখন (মুযদালিফায়) মাশআরুল হারামের নিকটে পৌঁছে আল্লাহকে স্মরণ কর এবং তিনি যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, ঠিক সেইভাবে তাঁকে স্মরণ কর; যদিও পূর্বে তোমরা বিভ্রান্তদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।[২]
[১] فَضل (অনুগ্রহ)এর অর্থ ব্যবসা-বাণিজ্য। অর্থাৎ, হজ্জের সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য করাতে কোন দোষ নেই। (অবশ্য আসল উদ্দেশ্য হজ্জই হতে হবে; ব্যবসা যেন আসল উদ্দেশ্য না হয়; তাহলে হজ্জ হবে না।)
[২] ৯ই যুলহজ্জ সূর্য ঢলে যাওয়ার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান করা হজ্জের সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ রুকন (অঙ্গ)। এ সম্পর্কে হাদীসে বলা হয়েছে যে, "আরাফায় অবস্থানই হল হজ্জ।" এখানে মাগরিবের নামায পড়া হবে না, বরং মুযদালিফায় পৌঁছে মাগরিবের তিন রাকআত এবং এশার দু' রাকআত (কসর করে) এক সাথে জমা করে একবার আযান ও দু'বার ইক্বামত দিয়ে পড়তে হবে। মুযদালিফাকেই 'মাশআরে হারাম' বলা হয়। কেননা, এটা হারামেরই অন্তর্ভুক্ত। এখানে হাজীদেরকে আল্লাহর যিকরের প্রতি যত্ন নিতে বলা হয়েছে। এখানে রাত্রিবাস করতে হয়। ফজরের নামায 'গালাস' (অন্ধকারে) অর্থাৎ, প্রথম অক্তে পড়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত যিকরে ব্যস্ত থাকতে হয় এবং সূর্যোদয়ের পর মিনা অভিমুখে যাত্রা করতে হয়।