Skip to main content

وَٱتَّقُوا۟
এবং তোমরা ভয় করো
يَوْمًا
সে দিনের
تُرْجَعُونَ
তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে
فِيهِ
যার মধ্যে
إِلَى
দিকে
ٱللَّهِۖ
আল্লাহরই
ثُمَّ
এরপর
تُوَفَّىٰ
পূর্ণ দেয়া হবে
كُلُّ
প্রত্যেক
نَفْسٍ
ব্যক্তিকে
مَّا
যা
كَسَبَتْ
সে অর্জন করেছে
وَهُمْ
এবং তাদেরকে
لَا
না
يُظْلَمُونَ
অবিচার করা হবে

তোমরা সেদিনের ভয় কর, যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর প্রত্যেক লোককে তার কৃতকর্মের বিনিময় দেয়া হবে এবং তারা কিছুমাত্র অত্যাচারিত হবে না।

ব্যাখ্যা

يَٰٓأَيُّهَا
হে
ٱلَّذِينَ
যারা
ءَامَنُوٓا۟
ঈমান এনেছ
إِذَا
যখন
تَدَايَنتُم
তোমরা পরস্পরে আদান-প্রদান কর
بِدَيْنٍ
ঋণের
إِلَىٰٓ
পর্যন্ত
أَجَلٍ
মেয়াদ
مُّسَمًّى
নির্দিষ্ট
فَٱكْتُبُوهُۚ
তা তোমরা তখন লিখে রাখো
وَلْيَكْتُب
এবং যেন লেখে
بَّيْنَكُمْ
তোমাদের মাঝে
كَاتِبٌۢ
একজন লেখক
بِٱلْعَدْلِۚ
ন্যায্যভাবে
وَلَا
এবং না
يَأْبَ
অস্বীকার করবে
كَاتِبٌ
কোনো লেখক
أَن
যে (না)
يَكْتُبَ
সে লিখবে
كَمَا
যেমন
عَلَّمَهُ
শিখিয়েছেন তাকে
ٱللَّهُۚ
আল্লাহ
فَلْيَكْتُبْ
অতএব সে যেন লেখে
وَلْيُمْلِلِ
এবং যেন সে লিখিয়ে নেয় (লেখ্য বিষয়)
ٱلَّذِى
সেই (ব্যক্তি)
عَلَيْهِ
যার উপর (আছে)
ٱلْحَقُّ
অধিকার (অর্থাৎ ঋণগ্রহীতা)
وَلْيَتَّقِ
এবং সে ভয় করে যেন (লেখক)
ٱللَّهَ
আল্লাহকে (যিনি)
رَبَّهُۥ
তার রব
وَلَا
এবং না
يَبْخَسْ
কম করবে
مِنْهُ
তা থেকে
شَيْـًٔاۚ
কিছুই
فَإِن
অতঃপর যদি
كَانَ
হয়
ٱلَّذِى
সে
عَلَيْهِ
যার উপর
ٱلْحَقُّ
অধিকার (অর্থাৎ ঋণগ্রহীতা)
سَفِيهًا
নির্বোধ
أَوْ
বা
ضَعِيفًا
দুর্বল
أَوْ
বা
لَا
না
يَسْتَطِيعُ
সে পারে
أَن
যে
يُمِلَّ
সে লিখিয়ে নেবে
هُوَ
সে
فَلْيُمْلِلْ
তবে যেন লিখিয়ে নেয়
وَلِيُّهُۥ
তার অভিভাবক
بِٱلْعَدْلِۚ
ন্যায্যভাবে
وَٱسْتَشْهِدُوا۟
এবং তোমরা সাক্ষী রাখো
شَهِيدَيْنِ
দুজন সাক্ষী
مِن
মধ্য হতে
رِّجَالِكُمْۖ
তোমাদের পুরুষদের
فَإِن
অতঃপর যদি
لَّمْ
না
يَكُونَا
থাকে
رَجُلَيْنِ
দুজন পুরুষ
فَرَجُلٌ
তবে একজন পুরুষ
وَٱمْرَأَتَانِ
ও দুজন মহিলা
مِمَّن
(তাদের) হতে যাদের
تَرْضَوْنَ
তোমরা পছন্দ কর
مِنَ
মধ্য হতে
ٱلشُّهَدَآءِ
সাক্ষীদের
أَن
যে
تَضِلَّ
ভুল করলে
إِحْدَىٰهُمَا
দুজনের একজন(মহিলাদের)
فَتُذَكِّرَ
তখন স্মরণ করাবে
إِحْدَىٰهُمَا
দুজনের একজন(মহিলা)
ٱلْأُخْرَىٰۚ
অন্যজনকে
وَلَا
এবং না
يَأْبَ
অস্বীকার করবে
ٱلشُّهَدَآءُ
সাক্ষীরা
إِذَا
যখন
مَا
(কি)
دُعُوا۟ۚ
তাদের ডাকা হবে
وَلَا
এবং না
تَسْـَٔمُوٓا۟
তোমরা বিরক্তিবোধ করবে
أَن
যে
تَكْتُبُوهُ
তা তোমরা লিখবে
صَغِيرًا
ছোট (ব্যাপার হোক)
أَوْ
বা
كَبِيرًا
বড় (হোক)
إِلَىٰٓ
পর্যন্ত
أَجَلِهِۦۚ
তার মেয়াদ
ذَٰلِكُمْ
এটা
أَقْسَطُ
অধিকতর ন্যায়সঙ্গত
عِندَ
কাছে
ٱللَّهِ
আল্লাহর
وَأَقْوَمُ
ও দৃঢ়তর
لِلشَّهَٰدَةِ
সাক্ষ্য প্রমাণের জন্য
وَأَدْنَىٰٓ
ও অধিক নিকটবর্তী
أَلَّا
যেন না
تَرْتَابُوٓا۟ۖ
তোমরা সন্দেহ কর
إِلَّآ
তবে
أَن
যে (সব)
تَكُونَ
হয়ে থাকে
تِجَٰرَةً
ব্যবসা
حَاضِرَةً
নগদ
تُدِيرُونَهَا
তা তোমরা পরস্পর পরিচালনা কর
بَيْنَكُمْ
তোমাদের মাঝে
فَلَيْسَ
নেই তবে
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
جُنَاحٌ
কোনো পাপ
أَلَّا
যদি না
تَكْتُبُوهَاۗ
তা তোমরা লিখে রাখ
وَأَشْهِدُوٓا۟
এবং তোমরা সাক্ষী রাখো
إِذَا
যখন
تَبَايَعْتُمْۚ
তোমরা বেচা কেনা কর
وَلَا
এবং না
يُضَآرَّ
ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে
كَاتِبٌ
লেখককে
وَلَا
আর না
شَهِيدٌۚ
সাক্ষীকে
وَإِن
এবং যদি
تَفْعَلُوا۟
তোমরা কর
فَإِنَّهُۥ
তবে তা নিশ্চয়ই
فُسُوقٌۢ
অন্যায়
بِكُمْۗ
তোমাদের জন্য
وَٱتَّقُوا۟
এবং তোমরা ভয় করো
ٱللَّهَۖ
আল্লাহকে
وَيُعَلِّمُكُمُ
এবং তোমাদেরকে শিক্ষা দেন
ٱللَّهُۗ
আল্লাহ
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
بِكُلِّ
সম্পর্কে
شَىْءٍ
সবকিছু
عَلِيمٌ
খুব অবহিত

হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ধারে কারবার করবে, তখন তা লিখে রাখবে, তোমাদের মধ্যে যেন কোন একজন লেখক ন্যায্যভাবে লিখে দেয়, লেখক যেন লিখতে অস্বীকার না করে, যেরূপ আল্লাহ তাকে শিক্ষা দিয়েছেন, কাজেই সে যেন লিখে এবং কর্জ-গ্রহীতা যেন লেখার বিষয়বস্তু বলে দেয় এবং তার প্রতিপালক আল্লাহর ভয় রাখে এবং প্রাপ্য হতে যেন কোনও প্রকারের কাটছাঁট না করে। যদি কর্জ-গ্রহীতা স্বল্প-বুদ্ধি অথবা দুর্বল কিংবা লেখার বিষয়বস্তু বলতে অক্ষম হয়, তবে তার অভিভাবক যেন লেখার বিষয়বস্তু ন্যায্যভাবে বলে দেয় এবং তোমাদের আপন পুরুষ লোকের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, যদি দু’জন পুরুষ না পাওয়া যায়, তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রী লোক, যাদের সাক্ষ্য সম্পর্কে তোমরা রাজী আছ, এটা এজন্য যে, যদি একজন ভুলে যায় তবে অন্যজন স্মরণ করিয়ে দেবে এবং যখন সাক্ষীগণকে ডাকা হবে, তখন যেন (সাক্ষ্য দিতে) অস্বীকার না করে। ছোট হোক বা বড় হোক তোমরা নির্দিষ্ট মেয়াদসহ লিখে রাখাকে তাচ্ছিল্যভরে উপেক্ষা করো না, এ লিখে রাখা আল্লাহর নিকট ইনসাফ বজায় রাখার জন্য দৃঢ়তর, সঠিক প্রমাণের জন্য সহজতর এবং তোমরা যাতে কোনও সন্দেহে পতিত না হও এর নিকটবর্তী। কিন্তু যদি কোন সওদা তোমরা পরস্পর নগদ নগদ সম্পাদন কর, তবে না লিখলেও তোমাদের কোন দোষ নেই। আর তোমরা যখন পরস্পর কেনাবেচা কর তখন সাক্ষী রেখ। কোনও লেখক ও সাক্ষীকে যেন কষ্ট দেয়া না হয় এবং যদি এরূপ কর, তাহলে তোমাদের গুনাহ হবে। কাজেই আল্লাহকে ভয় কর এবং আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন এবং আল্লাহ সর্ববিষয়ে সুপরিজ্ঞাত।

ব্যাখ্যা

وَإِن
এবং যদি
كُنتُمْ
তোমরা থাক
عَلَىٰ
মধ্যে
سَفَرٍ
সফরের
وَلَمْ
এবং না
تَجِدُوا۟
তোমরা পাও
كَاتِبًا
কোনো লেখক
فَرِهَٰنٌ
তবে বন্ধকি বস্তু
مَّقْبُوضَةٌۖ
হস্তগত (রাখতে পার)
فَإِنْ
অতঃপর যদি
أَمِنَ
বিশ্বাস করে
بَعْضُكُم
তোমাদের কেউ
بَعْضًا
অন্যকে
فَلْيُؤَدِّ
তবে সে যেন ফিরেয়ে দেয়
ٱلَّذِى
যার (উপর)
ٱؤْتُمِنَ
বিশ্বাস করা হয়েছিল
أَمَٰنَتَهُۥ
তার আমানতের
وَلْيَتَّقِ
এবং সে যেন ভয় করে
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
رَبَّهُۥۗ
(যিনি) তার রব
وَلَا
এবং না
تَكْتُمُوا۟
তোমরা গোপন করবে
ٱلشَّهَٰدَةَۚ
সাক্ষ্য
وَمَن
এবং যে
يَكْتُمْهَا
তা গোপন করবে
فَإِنَّهُۥٓ
তাহলে সে নিশ্চয়ই
ءَاثِمٌ
পাপী
قَلْبُهُۥۗ
তার অন্তর
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
بِمَا
সে বিষয়ে
تَعْمَلُونَ
তোমরা কাজ কর
عَلِيمٌ
খুব অবহিত

যদি তোমরা সফরে থাক এবং কোন লেখক না পাও, তাহলে বন্ধক রাখার জিনিসগুলো অন্যের দখলে রাখতে হবে, যদি তোমরা পরস্পর পরস্পরকে বিশ্বাস কর তাহলে যাকে বিশ্বাস করা হয়েছে সে যেন আমানত ফিরিয়ে দেয় এবং তার প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করে। তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না, যে ব্যক্তি তা গোপন করে, তার অন্তর পাপী। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত।

ব্যাখ্যা

لِّلَّهِ
আল্লাহর জন্য
مَا
যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশ সমূহের
وَمَا
ও যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
ٱلْأَرْضِۗ
পৃথিবীর
وَإِن
এবং যদি
تُبْدُوا۟
তোমরা প্রকাশ কর
مَا
যা কিছু
فِىٓ
মধ্যে (আছে)
أَنفُسِكُمْ
তোমাদের মনের
أَوْ
অথবা
تُخْفُوهُ
গোপন কর তোমরা তা
يُحَاسِبْكُم
তোমাদেরকে হিসাব নিবেন
بِهِ
তা সম্পর্কে
ٱللَّهُۖ
আল্লাহ
فَيَغْفِرُ
অতঃপর ক্ষমা করবেন
لِمَن
যাকে
يَشَآءُ
তিনি ইচ্ছা করবেন
وَيُعَذِّبُ
এবং তিনি শাস্তি দিবেন
مَن
যাকে
يَشَآءُۗ
তিনি ইচ্ছা করবেন
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
عَلَىٰ
উপর
كُلِّ
সব
شَىْءٍ
কিছুর
قَدِيرٌ
সর্বশক্তিমান

যা কিছু আকাশসমূহে ও ভূমন্ডলে আছে, সবকিছু আল্লাহরই। তোমাদের অন্তরে যা আছে, তা তোমরা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর আল্লাহ তার হিসাব তোমাদের নিকট হতে গ্রহণ করবেন। সুতরাং যাকে ইচ্ছে তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছে তিনি শাস্তি দিবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।

ব্যাখ্যা

ءَامَنَ
ঈমান এনেছে
ٱلرَّسُولُ
রাসূল
بِمَآ
ঐ বিষয় যা
أُنزِلَ
অবতীর্ণ করা হয়েছে
إِلَيْهِ
তাঁর প্রতি
مِن
পক্ষ হতে
رَّبِّهِۦ
তাঁর রবের
وَٱلْمُؤْمِنُونَۚ
এবং মু'মিনরাও
كُلٌّ
সবাই
ءَامَنَ
ঈমান এনেছে
بِٱللَّهِ
আল্লাহর উপর
وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ
এবং তাঁর ফেরেশতাদের
وَكُتُبِهِۦ
ও তাঁর কিতাবগুলোর
وَرُسُلِهِۦ
এবং তাঁর রাসূলদের (উপর)
لَا
(তারা বলে) না
نُفَرِّقُ
আমরা পার্থক্য করি
بَيْنَ
মাঝে
أَحَدٍ
কারো
مِّن
মধ্য হতে
رُّسُلِهِۦۚ
তাঁর রাসূলদের
وَقَالُوا۟
এবং তারা বলে
سَمِعْنَا
আমরা শুনলাম
وَأَطَعْنَاۖ
এবং আমরা মানলাম
غُفْرَانَكَ
আমরা তোমার ক্ষমা (চাই)
رَبَّنَا
হে আমাদের রব
وَإِلَيْكَ
এবং তোমারই কাছে
ٱلْمَصِيرُ
প্রত্যাবর্তন (হবে)

রসূল (সাঃ) তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা তার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছে এবং মু’মিনগণও। তারা সবাই আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে, (তারা বলে), ‘আমরা রসূলগণের মধ্যে কারও ব্যাপারে তারতম্য করি না’ এবং তারা এ কথাও বলে যে, ‘আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা কর আর প্রত্যাবর্তন তোমারই দিকে’।

ব্যাখ্যা

لَا
না
يُكَلِّفُ
দায়িত্বভার দেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
نَفْسًا
কোনো ব্যক্তিকে
إِلَّا
এছাড়া যা
وُسْعَهَاۚ
তার সামর্থ্য (আছে)
لَهَا
তার জন্য (আছে)
مَا
যা (পূণ্য)
كَسَبَتْ
সে অর্জন করেছে
وَعَلَيْهَا
এবং তার বিরুদ্ধে
مَا
যা (পাপ)
ٱكْتَسَبَتْۗ
সে অর্জন করেছে
رَبَّنَا
হে আমাদের রব
لَا
না
تُؤَاخِذْنَآ
আমাদেরকে পাকড়াও করো
إِن
যদি
نَّسِينَآ
আমরা ভুলে যাই
أَوْ
বা
أَخْطَأْنَاۚ
আমরা ভুল করি
رَبَّنَا
হে আমাদের রব
وَلَا
এবং না
تَحْمِلْ
চাপিয়ে দিও
عَلَيْنَآ
আমাদের উপর
إِصْرًا
বোঝা
كَمَا
যেমন
حَمَلْتَهُۥ
তা তুমি চাপিয়ে দিয়েছিলে
عَلَى
উপর
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
مِن
থেকে
قَبْلِنَاۚ
আমাদের পূর্ব ছিল
رَبَّنَا
হে আমাদের রব
وَلَا
এবং না
تُحَمِّلْنَا
আমাদের উপর চাপিয়ে দিও
مَا
তা
لَا
নেই
طَاقَةَ
শক্তি
لَنَا
আমাদের কাছে
بِهِۦۖ
যার
وَٱعْفُ
এবং মোচন করে দাও (ত্রুটি)
عَنَّا
আমাদের থেকে
وَٱغْفِرْ
এবং ক্ষমা করো
لَنَا
আমাদেরকে
وَٱرْحَمْنَآۚ
এবং আমাদের উপর দয়া করো
أَنتَ
তুমিই
مَوْلَىٰنَا
আমাদের অভিভাবক
فَٱنصُرْنَا
আমাদের সাহায্য কর তাই
عَلَى
বিরুদ্ধে
ٱلْقَوْمِ
সম্প্রদায়ের
ٱلْكَٰفِرِينَ
(যারা) কাফির

আল্লাহ কোন ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু আরোপ করেন না, সে ভাল যা করেছে সে তার সওয়াব পাবে এবং স্বীয় মন্দ কৃতকর্মের জন্য সে নিজেই নিগ্রহ ভোগ করবে। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে আমাদেরকে পাকড়াও করো না, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আগের লোকেদের উপর যেমন গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না; হে আমাদের প্রতিপালক! যে ভার বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই, এমন ভার আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না, (ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করে) আমাদেরকে রেহাই দাও, আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর; তুমিই আমাদের প্রতিপালক, কাজেই আমাদেরকে কাফিরদের উপর জয়যুক্ত কর।

ব্যাখ্যা