আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তারা যথাযথভাবে কিতাব তিলাওয়াত করে, তারাই এতে বিশ্বাস পোষণ করে আর যারা এর প্রতি অবিশ্বাস করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
হে বানী ইসরাঈল! আমার সেই অনুগ্রহ স্মরণ কর, যা আমি তোমাদের প্রতি করেছি এবং আমি তোমাদেরকে বিশ্বজগতের সকলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।
আর তোমরা সেই দিনের ভয় কর, যে দিন কেউ কারো কোন কাজে আসবে না এবং কারো পক্ষ হতে কোন ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করা হবে না এবং কারও সুপারিশ ফল দিবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
এবং স্মরণ কর যখন ইবরাহীমকে তার প্রতিপালক কতিপয় বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর সে সেগুলো পূর্ণ করল, তখন আল্লাহ বললেন, ‘আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করছি’। ইব্রাহীম আরয করল, ‘আর আমার বংশধর হতেও’? নির্দেশ হল, আমার অঙ্গীকারের মধ্যে যালিমরা শামিল নয়।
এবং স্মরণ কর যখন আমি কা‘বাগৃহকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র এবং নিরাপদস্থল করলাম এবং বললাম, ‘মাকামে ইবরাহীমকে সলাতের স্থান হিসেবে গ্রহণ কর’ এবং ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে বলেছিলাম, ‘আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ই‘তিকাফকারী এবং রুকূ ও সাজদাহকারীদের জন্য পবিত্র রাখবে’।
স্মরণ কর যখন ইবরাহীম প্রার্থনা করেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি এ শহরকে নিরাপদস্থল কর এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালের উপর ঈমান আনে, তাদেরকে ফলমূল হতে জীবিকা প্রদান কর’। নির্দেশ হল, ‘যে কেউ কুফরী করবে তাকেও আমি কিছু দিনের জন্য উপকার লাভ করতে দেব এবং তারপর তাকে জাহান্নামের আগুনে দাখিল করব, আর কতই না নিকৃষ্ট তাদের ফেরার জায়গা’!
আর (স্মরণ কর) যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল কাবাগৃহের ভিত্তি তুলছিল, তখন প্রার্থনা করল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ থেকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞাতা’।
হে আমাদের প্রতিপালক! ‘আমাদেরকে তোমার অনুগত কর, আমাদের খান্দানে একদল সৃষ্টি কর, যারা তোমার আজ্ঞাবহ হয় আর আমাদেরকে ইবাদাতের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দাও এবং আমাদের অপরাধ ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এদের কাছে একজন রসূল এদের মধ্য হতে প্রেরণ কর, যে এদেরকে তোমার আয়াতগুলো পড়ে শুনাবে এবং এদেরকে কিতাব ও জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দেবে এবং এদেরকে বিশুদ্ধ করবে, নিশ্চয় তুমি ক্ষমতাশালী, প্রজ্ঞাময়।’
সেই নির্বোধ ছাড়া অন্য এমন কে আছে যে মিল্লাতে ইব্রাহীম হতে ফিরে যাবে এবং নিশ্চয় আমি তাকে পছন্দ করেছি এবং আখেরাতেও সে নেককারদের অন্তর্গত হবে।