আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তাতে ঈমান আন’; তারা বলে, ‘আমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে আমরা বিশ্বাস করি’। অথচ পরবর্তী কিতাবকে (কুরআনকে) তারা প্রত্যাখ্যান করে, যদিও তা সত্য এবং যা তাদের নিকট আছে তার সমর্থক। বল, ‘যদি তোমরা বিশ্বাসী ছিলে তবে কেন তোমরা পূর্বে নাবীদেরকে হত্যা করেছিলে’?
এবং নিশ্চয়ই মূসা তোমাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণসহ এসেছে, তারপরেও তোমরা যালিম সেজে গো-বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিলে।
স্মরণ কর, যখন তোমাদের শপথ নিয়েছিলাম এবং তূর পর্বতকে তোমাদের ঊর্ধ্বে তুলেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘যা দিলাম তা দৃঢ়রূপে ধারণ কর এবং শ্রবণ কর’। তারা বলেছিল, আমরা শুনলাম ও অমান্য করলাম। কুফুরীর কারণে তাদের অন্তরে গো-বৎস-প্রীতি শিকড় গেড়ে বসেছিল। বল, ‘যদি তোমরা বিশ্বাসী হও, তবে তোমাদের বিশ্বাস যার নির্দেশ দেয়, তা কতই না নিকৃষ্ট’!
বল, ‘যদি আল্লাহর নিকট পরকালের বাসস্থান অন্যলোক ছাড়া কেবলমাত্র তোমাদের জন্যই হয়, তাহলে তোমরা মৃত্যু কামনা কর, যদি সত্যবাদী হয়ে থাক’।
কিন্তু তাদের কৃতকর্মের জন্য তারা কক্ষনো তা কামনা করবে না এবং আল্লাহ যালিমদের সম্পর্কে খুবই অবহিত।
অবশ্যই তুমি তাদেরকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে সকল মানুষ এমনকি মুশরিক অপেক্ষাও অধিক লোভী দেখতে পাবে, তাদের প্রত্যেকেই আকাঙ্ক্ষা করে যদি হাজার বছর আয়ু দেয়া হত, কিন্তু দীর্ঘায়ু তাদেরকে শাস্তি হতে রেহাই দিতে পারবে না, তারা যা করে, আল্লাহ তার দ্রষ্টা।
বল, ‘যে ব্যক্তি জিবরাঈলের শত্রু হয়েছে, (সে রাগে মরে যাক) কেননা সে তো আল্লাহর হুকুমে তোমার অন্তরে কুরআন পৌঁছিয়ে দিয়েছে, যা এর পূর্ববর্তী কিতাবের সমর্থক এবং যাতে ঈমানদারদের জন্য পথনির্দেশ ও সুসংবাদ রয়েছে’।
যে ব্যক্তি আল্লাহর, তাঁর ফেরেশতাদের ও তাঁর রসূলগণের এবং জিবরাঈলের ও মীকাইলের শত্রু সাজবে, নিশ্চয়ই আল্লাহও (এসব) কাফিরদের শত্রু।
এবং আমি তোমার নিকট সুস্পষ্ট আয়াত নাযিল করেছি, ফাসিকরা ছাড়া অন্য কেউ তা অস্বীকার করে না।
এটা কি নয় যে তারা যখনই কোন অঙ্গীকার করে, তখনই তাদের কোন না কোন দল সেই অঙ্গীকারকে বর্জন করে? বরং তাদের অধিকাংশই ঈমান রাখে না।