Skip to main content

ثُمَّ نُنَجِّى الَّذِيْنَ اتَّقَوْا وَّنَذَرُ الظّٰلِمِيْنَ فِيْهَا جِثِيًّا   ( مريم: ٧٢ )

Then
ثُمَّ
এরপর
We will deliver
نُنَجِّى
উদ্ধার করবো আমরা
those who
ٱلَّذِينَ
(তাদেরকে) যারা
feared (Allah)
ٱتَّقَوا۟
তাকওয়া অবলম্বন করেছে
and We will leave
وَّنَذَرُ
ও রেখে দিবো আমরা
the wrongdoers
ٱلظَّٰلِمِينَ
সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে
therein
فِيهَا
তার মধ্যে
bent (on) knees
جِثِيًّا
নতজানু অবস্থায়

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

অতঃপর মুত্তাকীদেরকে আমি রক্ষা করব আর যালিমদেরকে তার মধ্যে নতজানু অবস্থায় রেখে দেব।

English Sahih:

Then We will save those who feared Allah and leave the wrongdoers within it, on their knees.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

পরে আমি সাবধানীদেরকে উদ্ধার করব এবং সীমালংঘনকারীদেরকে সেথায় নতজানু অবস্থায় বর্জন করব। [১]

[১] এর ব্যাখ্যা সহীহ হাদীসে এইভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, জাহান্নামের উপর সেতু (পুলসিরাত) স্থাপন করা হবে যার উপর দিয়ে প্রত্যেক মুমিন ও মুনাফিককে পার হতে হবে। মুমিনরা নিজ নিজ আমল অনুসারে দ্রুত ও ধীর গতিতে পার হয়ে যাবে; কেউ চোখের পাতা ফেলার গতিতে (পলকের মধ্যে), কেউ বিদ্যুতের গতিতে, কেউ হাওয়ার গতিতে, কেউ উড়ন্ত পাখির গতিতে, কেউ দ্রুতগামী ঘোড়ার গতিতে, কেউ বা অন্যান্য যানবাহনের গতিতে, কেউ বা পূর্ণ নিরাপদে, কেউ যখম হয়েও পার হয়ে যাবে। আবার কিছু জাহান্নামে পড়েও যাবে পরে তাদেরকে সুপারিশ দ্বারা বের করে নেওয়া হবে। কিন্তু মুনাফিকদল ঐ পুল পার হতে সফল বা সক্ষম হবে না। বরং সকলেই জাহান্নামে পড়ে যাবে। এর সমর্থন ঐ হাদীস দ্বারাও হয়, যাতে বলা হয়েছে যে, "যার তিন তিনটি সন্তান সাবালক হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করবে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না; কিন্তু প্রতিজ্ঞা পালনের জন্য (জাহান্নামের উপর বেয়ে অতিক্রম করবে)।" (বুখারী, মুসলিম) আর সেই প্রতিজ্ঞা, যা উক্ত আয়াতে "এটা তোমার প্রতিপালকের অনিবার্য সিদ্ধান্ত" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং জাহান্নামে প্রবেশ করার অর্থ হবে, শুধুমাত্র পুলসিরাতের উপর বেয়ে পার হওয়া। (বিস্তৃত জানার জন্য দ্রষ্টব্যঃ ইবনে কাসীর, আইসারুত্ তাফাসীর)