وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِيْنَ اِلَّا مُبَشِّرِيْنَ وَمُنْذِرِيْنَۚ وَيُجَادِلُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوْا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوْٓا اٰيٰتِيْ وَمَآ اُنْذِرُوْا هُزُوًا ( الكهف: ٥٦ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আমি রসূলদেরকে পাঠিয়ে থাকি একমাত্র সুসংবাদদাতা আর সতর্ককারী হিসেবে। কিন্তু কাফিরগণ মিথ্যা যুক্তি পেশ করে বিতর্ক করছে তা দিয়ে সত্যকে দুর্বল করে দেয়ার উদ্দেশে, আর তারা আমার নিদর্শন ও ভয় দেখানোকে হাসি-তামাশার বিষয় বানিয়ে নিয়েছে।
English Sahih:
And We send not the messengers except as bringers of good tidings and warners. And those who disbelieve dispute by [using] falsehood to [attempt to] invalidate thereby the truth and have taken My verses, and that of which they are warned, in ridicule.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আমি শুধু সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই রসূলদেরকে পাঠিয়ে থাকি, কিন্তু সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরা মিথ্যা অবলম্বনে বিতন্ডা করে; যাতে তার দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়। আর তারা আমার নিদর্শনাবলী ও যার দ্বারা তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, সে সবকে বিদ্রূপের বিষয়রূপে গ্রহণ করে থাকে। [১]
[১] আল্লাহর আয়াতের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হল, তা মিথ্যাজ্ঞান করার অতীব নিকৃষ্টতম প্রকার। অনুরূপ মিথ্যা ও বাতিল দ্বারা বিতর্ক (অর্থাৎ, বাতিল তরীকা অবলম্বন) করে সত্যকে মিথ্যা সাব্যস্ত করার প্রচেষ্টা করাও অতি ঘৃণিত আচরণ। আর এই বাতিল পন্থায় বিতর্ক করার একটি প্রকার হল, কাফেরদের এই বলে রসূলদের রিসালাতকে অস্বীকার করে দেওয়া যে, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ। ﴿ مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا﴾ (يـس; ১৫) অতএব আমরা তোমাদেরকে রসূল কিভাবে মেনে নিতে পারি? دَحَضَ এর প্রকৃত অর্থ হল, স্খলন ঘটা, পিছল কাটা। যেমন বলা হয়, دَحَضَتْ رِجْلُهُ (তার পদস্খলন ঘটেছে)। এখান থেকেই এ শব্দটি কোন জিনিস থেকে সরে যাওয়ার এবং ব্যর্থ হওয়ার অর্থে ব্যবহার হতে লেগেছে। বলা হয় যে, دَحَضَتْ حُجَّتُهُ دُحُوْضًا أي بَطَلَتْ (তার হুজ্জত বাতিল গণ্য হয়েছে।) এই দিক দিয়ে أدْحَضَ يُدْحِضُ এর অর্থ হবে, বাতিল বা ব্যর্থ করা। (ফাতহুল কাদীর)