وَيَوْمَ نُسَيِّرُ الْجِبَالَ وَتَرَى الْاَرْضَ بَارِزَةًۙ وَّحَشَرْنٰهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنْهُمْ اَحَدًاۚ ( الكهف: ٤٧ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
(সেদিনের কথা চিন্তা কর) যেদিন আমি পর্বতমালাকে চালিত করব, আর পৃথিবীকে দেখতে পাবে উন্মুক্ত প্রান্তর আর তাদের সববাইকে আমি একত্রিত করব, কাউকেও বাদ দেব না।
English Sahih:
And [warn of] the Day when We will remove the mountains and you will see the earth exposed, and We will gather them and not leave behind from them anyone.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
(স্মরণ কর,) যেদিন আমি পর্বতকে করব সঞ্চালিত[১] এবং তুমি পৃথিবীকে দেখবে একটি শূন্য প্রান্তর; সেদিন মানুষকে আমি একত্রিত করব এবং তাদের কাউকেও অব্যাহতি দেব না। [২]
[১] এখানে কিয়ামতের ভয়াবহতা এবং তার বড় বড় ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে। পর্বতকে সঞ্চালিত করার অর্থ, পাহাড় তার স্থান থেকে সরে যাবে এবং তা ধূনিত পশমের মত উড়তে থাকবে। ﴿وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنْفُوشِ﴾ "এবং পাহাড়গুলো ধূনিত রঙিন পশমের মত হয়ে যাবে।" (সূরা ক্বারেআহ ১০১;৫ আয়াত) আরো দেখুন, সূরা তূরের ৫২;৯-১০, সূরা নাম্লের ২৭;৮৮ এবং সূরা ত্বহা র ২০;১০৫-১০৭ নং আয়াতগুলো। যমীন থেকে এই শক্তিশালী পাহাড়গুলো যখন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তখন ঘর-বাড়ী, গাছপালা এবং এই ধরনের অন্যান্য জিনিসগুলো কিভাবে সব সব অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে? এই জন্যই পরে বলা হয়েছে, "তুমি যমীনকে দেখবে একটি শূন্য প্রান্তর।"
[২] অর্থাৎ, পূর্বের ও পরের, ছোট ও বড় এবং কাফের ও মু'মিন সকলকেই একত্রিত করব। কেউ যমীনের তলায় পড়ে থাকবে না এবং কবর থেকে বেরিয়ে কোথাও লুকাতে পারবে না।