وَّرَبَطْنَا عَلٰى قُلُوْبِهِمْ اِذْ قَامُوْا فَقَالُوْا رَبُّنَا رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ لَنْ نَّدْعُوَا۟ مِنْ دُوْنِهٖٓ اِلٰهًا لَّقَدْ قُلْنَآ اِذًا شَطَطًا ( الكهف: ١٤ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আর তাদের দিল মযবুত করে দিয়েছিলাম যখন তারা (মুশরিক রাজা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে) দাঁড়িয়ে গেল তখন বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক তো তিনিই যিনি আসমানসমূহ যমীনের প্রতিপালক। আমরা কক্ষনো তাঁকে ত্যাগ করে অন্য কোন ইলাহকে ডাকব না। যদি আমরা ডাকি তাহলে মহা অপরাধের কথাই বলা হবে।
English Sahih:
And We bound [i.e., made firm] their hearts when they stood up and said, "Our Lord is the Lord of the heavens and the earth. Never will we invoke besides Him any deity. We would have certainly spoken, then, an excessive transgression.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আর আমি তাদের অন্তরকে সুদৃঢ় করেছিলাম;[১] তারা যখন উঠে দাঁড়াল[২] তখন বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক; আমরা কখনই তাঁর পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্যকে আহবান করব না; যদি করে বসি তাহলে তা অতিশয় গর্হিত হবে। [৩]
[১] অর্থাৎ, হিজরত করার কারণে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন থেকে পৃথক এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন থেকে বঞ্চিত হওয়ার ধাক্কা যেহেতু তাদের উপর আসছে, তাই আল্লাহ তাদের অন্তরকে সুদৃঢ় করে দিলেন। যাতে তারা তাদের জীবনের বিপদ-আপদকে খুশী মনে বরণ করে নিতে পারে। অনুরূপ হক বলার দায়িত্বকেও যেন সাহস ও উৎসাহের সাথে পালন করতে পারে।
[২] এই দাঁড়ানো অধিকাংশ মুফাসসিরের নিকট রাজার দরবারে ছিল, তারা রাজার সামনে দাঁড়িয়ে তাওহীদের ওয়ায করেছিল। কেউ কেউ বলেন, শহর থেকে বেরিয়ে এসে দাঁড়িয়ে আপোসে একে অপরকে তাওহীদের সেই কথা শুনাতে লাগলেন, যা এক এক করে প্রত্যেকের অন্তরে ভরে দেওয়া হয়েছিল এবং এইভাবে তারা আপোসে একত্রিত হয়ে গেল।
[৩] شَطَطًا অর্থ, মিথ্যা অথবা সীমালঙ্ঘন করা।