Skip to main content

وَكَذَٰلِكَ
এবং এভাবে
أَعْثَرْنَا
আমরা জানিয়ে দিলাম
عَلَيْهِمْ
সম্পর্কে তাদের
لِيَعْلَمُوٓا۟
যেন তারা জানে
أَنَّ
যে
وَعْدَ
প্রতিশ্রুতি
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌র
حَقٌّ
সত্য
وَأَنَّ
এবং (এও) যে
ٱلسَّاعَةَ
ক্বিয়ামাত আসবেই
لَا
নেই
رَيْبَ
কোনো সন্দেহ
فِيهَآ
মধ্যে তার
إِذْ
যখন
يَتَنَٰزَعُونَ
তারা পরস্পরে বিতর্ক করছিলো
بَيْنَهُمْ
মাঝে তাদের
أَمْرَهُمْۖ
কাজে তাদের
فَقَالُوا۟
তখন তারা বলেছিলো
ٱبْنُوا۟
"তোমরা নির্মাণ করো
عَلَيْهِم
উপর তাদের
بُنْيَٰنًاۖ
সৌধ
رَّبُّهُمْ
রব তাদের
أَعْلَمُ
ভালো জানেন
بِهِمْۚ
সম্বন্ধে তাদের"
قَالَ
বললো
ٱلَّذِينَ
যারা
غَلَبُوا۟
প্রবল হয়েছিলো
عَلَىٰٓ
উপর
أَمْرِهِمْ
তাদের মতের
لَنَتَّخِذَنَّ
"অবশ্যই আমরা নির্মাণ করবো
عَلَيْهِم
উপর তাদের
مَّسْجِدًا
মাসজিদ"

আমি এভাবে তাদের ব্যাপারটা লোকেদেরকে ওয়াকিফহাল করে দিলাম যাতে তারা জানতে পারে যে, আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য, আর ক্বিয়ামাতের দিন সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা (অর্থাৎ নগরবাসীরা) নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদ করছিল, (কতক) বলল, ‘তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।’ তাদের প্রতিপালক তাদের সম্পর্কে ভাল জানেন। তাদের কর্তব্যকর্ম সম্পর্কে যাদের মতামত প্রাধান্য লাভ করল তারা বলল, ‘আমরা তাদের উপর অবশ্য অবশ্যই মাসজিদ নির্মাণ করব।’

ব্যাখ্যা

سَيَقُولُونَ
তারা শীঘ্রই বলবে
ثَلَٰثَةٌ
তিন (তাদের সংখ্যা)
رَّابِعُهُمْ
চতুর্থটি (ছিলো) তাদের
كَلْبُهُمْ
কুকুর তাদের
وَيَقُولُونَ
এবং (কিছু লোক) বলবে
خَمْسَةٌ
পাঁচ (জন)
سَادِسُهُمْ
ষষ্ঠটি তাদের
كَلْبُهُمْ
কুকুর তাদের
رَجْمًۢا
আনুমানিক (কথা)
بِٱلْغَيْبِۖ
বিষয়ে অজানা
وَيَقُولُونَ
এবং (কিছু লোক) বলবে
سَبْعَةٌ
সাত (তাদের সংখ্যা)
وَثَامِنُهُمْ
এবং অষ্টমটি তাদের
كَلْبُهُمْۚ
কুকুর তাদের
قُل
বলো
رَّبِّىٓ
"আমার রব
أَعْلَمُ
ভালো জানেন
بِعِدَّتِهِم
সম্পর্কে তাদের সংখ্যা
مَّا
না
يَعْلَمُهُمْ
জানে তাদের
إِلَّا
ছাড়া
قَلِيلٌۗ
অল্প (লোক)
فَلَا
অতএব
تُمَارِ
বিতর্ক করো না
فِيهِمْ
বিষয়ে তাদের
إِلَّا
ছাড়া
مِرَآءً
আলোচনা
ظَٰهِرًا
মামুলি
وَلَا
এবং না
تَسْتَفْتِ
জিজ্ঞেস করবে তুমি
فِيهِم
বিষয়ে তাদের
مِّنْهُمْ
মধ্য থেকে তাদের
أَحَدًا
কাউকে"

কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল তিনজন, তাদের চতুর্থটি ছিল তাদের কুকুর।’ আর কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল পাঁচ জন, তাদের ষষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর’, (এ কথা তারা বলবে) অজানা বিষয়ে সন্দেহপূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতে। আবার তাদের কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল সাতজন, আর তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর।’ বল, ‘তাদের সংখ্যা সম্পর্কে আমার প্রতিপালকই বেশি জানেন।’ অল্প কয়জন ছাড়া তাদের সংখ্যা সম্পর্কে কেউ জানে না। কাজেই সাধারণ কথাবার্তা ছাড়া তাদের ব্যাপার নিয়ে বিতর্ক করো না, আর তাদের সম্পর্কে কারো কাছে কিছু জিজ্ঞেসও করো না।

ব্যাখ্যা

وَلَا
এবং না
تَقُولَنَّ
বলবে কখনও
لِشَا۟ىْءٍ
কোনো কিছুকে
إِنِّى
"নিশ্চয়ই আমি
فَاعِلٌ
সম্পাদনকারী
ذَٰلِكَ
এটা
غَدًا
আগামীকাল"

কোন বিষয় সম্পর্কে কক্ষনো বল না যে, ‘ওটা আমি আগামীকাল করব।’

ব্যাখ্যা

إِلَّآ
ছাড়া
أَن
"যে
يَشَآءَ
ইচ্ছে করেন"
ٱللَّهُۚ
আল্লাহ্‌"
وَٱذْكُر
এবং স্মরণ করো
رَّبَّكَ
তোমার রবকে
إِذَا
যদি
نَسِيتَ
তুমি ভুলে যাও
وَقُلْ
এবং বলো
عَسَىٰٓ
"সম্ভবতঃ
أَن
যে
يَهْدِيَنِ
আমাকে পথ দেখাবেন
رَبِّى
আমার রব
لِأَقْرَبَ
নিকটবর্তী (কথা)
مِنْ
চেয়ে
هَٰذَا
এটার
رَشَدًا
সত্যের"

‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে’ বলা ছাড়া। যদি ভুলে যাও (তবে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে) তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর আর বল, ‘আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে এর চেয়েও সত্যের নিকটবর্তী পথে পরিচালিত করবেন। (কেননা এক ব্যক্তি যেভাবেই সঠিক পথে চলুক না কেন, তার চেয়েও উত্তমভাবে পথ চলা যেতে পারে)।

ব্যাখ্যা

وَلَبِثُوا۟
এবং তারা অবস্থান করেছিলো
فِى
মধ্যে
كَهْفِهِمْ
গুহার তাদের
ثَلَٰثَ
তিন
مِا۟ئَةٍ
শত
سِنِينَ
বছর
وَٱزْدَادُوا۟
এবং তারা বৃদ্ধি করেছিলো
تِسْعًا
(আরও) নয়

আর (কারো মতে) তারা তাদের গুহায় ছিল তিনশ’ বছর আর কিছু লোক নয় বছর বাড়িয়ে নিয়েছে।

ব্যাখ্যা

قُلِ
বলো
ٱللَّهُ
"আল্লাহ্‌ই
أَعْلَمُ
ভালো জানেন
بِمَا
সম্পর্কে যা
لَبِثُوا۟ۖ
তারা অবস্থান করেছিলো
لَهُۥ
আছে তাঁরই
غَيْبُ
অদৃশ্যের জ্ঞান
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
وَٱلْأَرْضِۖ
এবং পৃথিবীর
أَبْصِرْ
কত সুন্দরভাবে দেখেন
بِهِۦ
সম্পর্কে তা
وَأَسْمِعْۚ
এবং কত সুন্দর শুনেন
مَا
নেই
لَهُم
জন্যে তাদের
مِّن
ছাড়া
دُونِهِۦ
তিনি
مِن
কোনো
وَلِىٍّ
(অন্য) অভিভাবক
وَلَا
এবং না
يُشْرِكُ
তিনি শরিক করেন
فِى
ব্যাপারে
حُكْمِهِۦٓ
তাঁর কর্তৃত্বের
أَحَدًا
(অন্য) কাউকে"

বল, ‘আল্লাহই ভাল জানেন তারা কতকাল (গুহায়) ছিল।’ আসমানসমূহ যমীনের অদৃশ্যের জ্ঞান তাঁরই আছে, কত স্পষ্টই না তিনি দেখেন, কত স্পষ্টই না তিনি শোনেন। তিনি ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক নেই, তিনি তাঁর কর্তৃত্বে কাউকে অংশীদার করেন না।

ব্যাখ্যা

وَٱتْلُ
এবং আবৃত্তি করো
مَآ
যা
أُوحِىَ
ওহী করা হয়েছে
إِلَيْكَ
প্রতি তোমার
مِن
থেকে
كِتَابِ
কিতাব
رَبِّكَۖ
তোমার রবের
لَا
নেই
مُبَدِّلَ
পরিবর্তনকারী
لِكَلِمَٰتِهِۦ
তাঁর কথাগুলোর
وَلَن
এবং কখনও না
تَجِدَ
তুমি পাবে
مِن
ছাড়া
دُونِهِۦ
তিনি
مُلْتَحَدًا
আশ্রয়স্থান

আর তুমি তোমার কাছে ওয়াহীকৃত তোমার প্রতিপালকের কিতাব থেকে পাঠ করে শুনাও, তাঁর কথা পরিবর্তন করে দেবে এমন কেউ নেই, আর তাঁকে ছাড়া তুমি কক্ষনো অন্য কাউকে আশ্রয়স্থল হিসেবে পাবে না।

ব্যাখ্যা

وَٱصْبِرْ
এবং স্থিতিশীল রাখবে
نَفْسَكَ
তোমার নিজেকে
مَعَ
সাথে
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
يَدْعُونَ
ডাকে
رَبَّهُم
রবকে তাদের
بِٱلْغَدَوٰةِ
বেলায় সকাল
وَٱلْعَشِىِّ
ও সন্ধ্যায়
يُرِيدُونَ
তারা চায়
وَجْهَهُۥۖ
তাঁর সন্তুষ্টি
وَلَا
এবং না
تَعْدُ
ফিরিয়ে নিও
عَيْنَاكَ
তোমার দু'চোখ
عَنْهُمْ
থেকে তাদের
تُرِيدُ
তুমি চাও
زِينَةَ
শোভা
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনের
ٱلدُّنْيَاۖ
পার্থিব
وَلَا
এবং না
تُطِعْ
আনুগত্য করো
مَنْ
(তার) যার
أَغْفَلْنَا
আমরা অমনোযোগী করে দিয়েছি
قَلْبَهُۥ
অন্তরকে তার
عَن
থেকে
ذِكْرِنَا
আমাদের স্মরণ
وَٱتَّبَعَ
এবং অনুসরণ করে
هَوَىٰهُ
তাদের খেয়াল-খুশির
وَكَانَ
এবং হয়েছে
أَمْرُهُۥ
তার কাজ
فُرُطًا
সীমালঙ্ঘনমূলক

তুমি দৃঢ় চিত্ত হয়ে তাদের সাথে অবস্থান কর যারা সকাল-সন্ধ্যা তাদের প্রতিপালককে আহবান করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের সন্ধানে। পার্থিব জীবনের শোভা ও চাকচিক্য কামনায় তুমি তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও না। তুমি তার আনুগত্য কর না যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ হতে উদাসীন করে দিয়েছি, যে নিজের প্রবৃত্তির আনুগত্য করে আর যার কার্যকলাপ হচ্ছে সীমালঙ্ঘনমূলক।

ব্যাখ্যা

وَقُلِ
এবং বলো
ٱلْحَقُّ
"(এসেছে) সত্য
مِن
পক্ষ হ'তে
رَّبِّكُمْۖ
রবের তোমার
فَمَن
অতএব যে
شَآءَ
ইচ্ছে করে
فَلْيُؤْمِن
অতঃপর ঈমান আনুক
وَمَن
এবং যে
شَآءَ
ইচ্ছে করে
فَلْيَكْفُرْۚ
অতঃপর অস্বীকার করুক"
إِنَّآ
নিশ্চয়ই আমরা
أَعْتَدْنَا
আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি
لِلظَّٰلِمِينَ
জন্যে সীমালঙ্ঘনকারীদের
نَارًا
জাহান্নামের আগুন
أَحَاطَ
পরিবেষ্টন করেছে
بِهِمْ
সহ তাদেরকে
سُرَادِقُهَاۚ
তার শিখা
وَإِن
এবং যদি
يَسْتَغِيثُوا۟
তারা পান করতে চায়
يُغَاثُوا۟
তাদের পানি দেয়া হবে
بِمَآءٍ
এমন পানি
كَٱلْمُهْلِ
মতো তেলের গাদের
يَشْوِى
ঝলসে দিবে
ٱلْوُجُوهَۚ
মুখসমূহকে
بِئْسَ
কত নিকৃষ্ট
ٱلشَّرَابُ
পানীয়
وَسَآءَتْ
এবং অতিশয় খারাপ
مُرْتَفَقًا
আশ্রয়স্থল

আর বলে দাও, ‘সত্য এসেছে তোমাদের রব্বের নিকট হতে, কাজেই যার ইচ্ছে ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করুক।’ আমি (অস্বীকারকারী) যালিমদের জন্য আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি যার লেলিহান শিখা তাদেরকে ঘিরে ফেলেছে। তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে গলিত শিশার ন্যায় পানি দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে, কতই না নিকৃষ্ট পানীয়! আর কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল!

ব্যাখ্যা

إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱلَّذِينَ
যারা
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
وَعَمِلُوا۟
এবং কাজ করেছে
ٱلصَّٰلِحَٰتِ
সৎ
إِنَّا
নিশ্চয়ই আমরা
لَا
না
نُضِيعُ
আমরা বিনষ্ট করি
أَجْرَ
পুরস্কার
مَنْ
যে
أَحْسَنَ
ভালো করে
عَمَلًا
কাজ

যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে- যে উত্তমভাবে কাজ করে আমি তার কর্মফল বিনষ্ট করি না।

ব্যাখ্যা