আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাত্থেকে তোমাদের জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করেছেন, পাহাড়-পর্বতে তোমাদের আত্মগোপনের জায়গা বানিয়েছেন। তিনি তোমাদের জন্য পোশাক দিয়েছেন যা তোমাদেরকে তাপ থেকে রক্ষা করে। আর দিয়েছেন এমন পোশাক যা তোমাদেরকে সংঘাতের সময় রক্ষা করে। এভাবে তিনি তোমাদের জন্য তাঁর নি‘মাতসমূহ পূর্ণ করেন যাতে তোমরা তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণ কর।
এরপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে (জোরপূর্বক তাদেরকে সঠিক পথে আনা তোমার দায়িত্ব নয়) তোমার দায়িত্ব কেবল স্পষ্টভাবে বাণী পৌঁছে দেয়া।
তারা আল্লাহর নি‘মাতকে চিনতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও সেগুলো অগ্রাহ্য করে, তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ।
(সেদিন কী অবস্থা হবে) যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী দাঁড় করাব আর কাফিরদেরকে (কোন অযুহাত পেশ করার) অনুমতি দেয়া হবে না, আর ক্ষমা প্রার্থনা করারও সুযোগ দেয়া হবে না।
সীমালঙ্ঘনকারীরা যখন ‘আযাব প্রত্যক্ষ করবে তাদের থেকে তখন তা কমানো হবে না, আর তাদেরকে সময়-সুযোগও দেয়া হবে না।
মুশরিকরা যাদেরকে আল্লাহর শারীক বানিয়েছিল তাদেরকে যখন দেখবে তখন তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব্ব! এরাই হল আমাদের শারীক মা‘বূদ তোমাকে বাদ দিয়ে যাদেরকে আমরা ডাকতাম।’ তখন এ কথাকে তাদের দিকেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তাদের সেই মা‘বূদরা বলবে, ‘তোমরা অবশ্যই মিথ্যেবাদী।’
সেদিন তারা আল্লাহর নিকট খোলাখুলি আত্মসমর্পণ করবে, আর তারা যে সব মিথ্যে উদ্ভাবন করেছিল তা তাদের নিকট হতে হারিয়ে যাবে।
যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে আর আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আমি তাদের শাস্তির উপর শাস্তি বৃদ্ধি করব, কারণ তারা ফাসাদ সৃষ্টি করত।
সেদিন আমি প্রত্যেক উম্মাত থেকে তাদের নিজেদেরই মধ্য হতে একজন সাক্ষী দাঁড় করাব, আর (তোমার) এই লোকদের ব্যাপারে সাক্ষ্যদাতা হিসেবে (হে মুহাম্মাদ!) আমি তোমাকে আনব। আমি তোমার প্রতি এ কিতাব নাযিল করেছি যা প্রত্যেকটি বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা, সত্য পথের নির্দেশ, রহমাত আর আত্মসমর্পণকারীদের জন্য সুসংবাদ স্বরূপ।
আল্লাহ ন্যায়-বিচার, সদাচরণ ও আত্মীয়দেরকে দেয়ার হুকুম দিচ্ছেন, আর তিনি নিষেধ করছেন অশ্লীলতা, অপকর্ম আর বিদ্রোহ থেকে। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দিয়েছেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।