قُلْ لِّعِبَادِيَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا يُقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَيُنْفِقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ سِرًّا وَّعَلَانِيَةً مِّنْ قَبْلِ اَنْ يَّأْتِيَ يَوْمٌ لَّا بَيْعٌ فِيْهِ وَلَا خِلٰلٌ ( ابراهيم: ٣١ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আমার বান্দাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে বল নামায প্রতিষ্ঠা করতে আর যে জীবিকা আমি তাদেরকে দিয়েছি তাত্থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করতে- সেদিন আসার পূর্বে যেদিন না চলবে কোন কেনা-বেচা আর না কোন বন্ধুত্ব।
English Sahih:
[O Muhammad], tell My servants who have believed to establish prayer and spend from what We have provided them, secretly and publicly, before a Day comes in which there will be no exchange [i.e., ransom], nor any friendships.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আমার বান্দাদের মধ্যে যারা বিশ্বাসী তাদেরকে বল, ‘তারা যেন নামায কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যা দান করেছি তা হতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে; সেদিন আসার পূর্বে যেদিন কোন ক্রয়-বিক্রয় থাকবে না এবং থাকবে না কোন বন্ধুত্ব।’[১]
[১] নামায কায়েম বা প্রতিষ্ঠা করার অর্থ এই যে, তা নবী (সাঃ)-এর তরীকা মোতাবেক যথাসময়ে, মনোযোগ সহকারে এবং বিনয়-নম্রতা বজায় রেখে সম্পন্ন করা। ব্যয় করার অর্থ যাকাত আদায় করা, তার মাধ্যমে আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা এবং অন্যান্য অভাবীদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করা। শুধু এই নয় যে, মুসলিম নিজের স্বার্থে ও নিজস্ব প্রয়োজনে অকুণ্ঠভাবে বহু অর্থ ব্যয় করবে; কিন্তু আল্লাহর নির্দেশিত স্থানে ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করবে। কিয়ামতের দিন এমন হবে যেখানে না ক্রয়-বিক্রয় সম্ভব হবে, আর না কোন বন্ধুত্ব কারো কাজে আসবে।