Skip to main content

وَلَقَدْ جَاۤءَتْ رُسُلُنَآ اِبْرٰهِيْمَ بِالْبُشْرٰى قَالُوْا سَلٰمًا ۖقَالَ سَلٰمٌ فَمَا لَبِثَ اَنْ جَاۤءَ بِعِجْلٍ حَنِيْذٍ  ( هود: ٦٩ )

And certainly
وَلَقَدْ
মধ্যে নিশ্চয়ই
came
جَآءَتْ
এসেছিলো
Our messengers
رُسُلُنَآ
আমাদের ফেরেশতারা
(to) Ibrahim
إِبْرَٰهِيمَ
ইবরাহীমের কাছে
with glad tidings
بِٱلْبُشْرَىٰ
নিয়ে সুসংবাদ
they said
قَالُوا۟
তারা বলেছিলো
"Peace"
سَلَٰمًاۖ
"সালাম (বর্ষিত হোক)"
He said
قَالَ
(ইবরাহীম) বললো
"Peace"
سَلَٰمٌۖ
"সালাম (বর্ষিত হোক)"
and not he delayed
فَمَا
অতঃপর না
and not he delayed
لَبِثَ
সে বিলম্ব করলো
to
أَن
যে
bring
جَآءَ
সে আসলো
a calf
بِعِجْلٍ
নিয়ে এক বাছুর
roasted
حَنِيذٍ
ভুনা (মেহমানদারীর জন্যে)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ ইবরাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল। তারা এসে বলল ‘‘তোমার প্রতি সালাম! সেও বলল, ‘তোমাদের প্রতিও সালাম!’ অনতিবিলম্বে সে ভুনা করা বাছুর নিয়ে আসলো।

English Sahih:

And certainly did Our messengers [i.e., angels] come to Abraham with good tidings; they said, "Peace." He said, "Peace," and did not delay in bringing [them] a roasted calf.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর আমার প্রেরিত ফিরিশতারা ইব্রাহীমের নিকট সুসংবাদ[১] নিয়ে আগমন করে বলল, ‘সালাম।’[২] ইব্রাহীমও (উত্তরে) বলল, ‘সালাম।’[৩] অতঃপর অনতিবিলম্বে একটা ভুনা বাছুর নিয়ে এল। [৪]

[১] এটা আসলে লূত (আঃ) ও তাঁর সম্প্রদায়ের ঘটনার এক অংশ । লূত (আঃ) ইবরাহীম (আঃ)-এর চাচাতো ভাই ছিলেন। তাঁর গ্রাম মৃত সাগরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ছিল। আর ইবরাহীম (আঃ) ফিলিস্তীনে বসবাস করতেন। যখন লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দেওয়ার ফায়সালা করে নেওয়া হল, তখন তাদের নিকট ফিরিশতা পাঠানো হল। উক্ত ফিরিশতাগণ লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের নিকট যাওয়ার পথে ইবরাহীম (আঃ)-এর নিকট গিয়েছিলেন এবং তাঁকে পুত্র-সন্তানের সুসংবাদ দিয়েছিলেন।

[২] অর্থাৎ, سلمنا عليك سلامًا (আমরা আপনাকে সালাম দিচ্ছি।)

[৩] যেরূপ প্রথম সালাম এক ঊহ্য ক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত ছিল, অনুরূপ এ سلامٌ 'মুবতাদা' অথবা 'খবর' হওয়ার কারণে পেশ অবস্থায় আছে। পূর্ণ বাক্য হবে, أمرُكٌمْ سَلاَمٌ يا عَلَيْكُمْ سَلامٌ

[৪] ইবরাহীম (আঃ) বড় মেহমান-নেওয়ায ছিলেন। তিনি জানতে পারেননি যে, এঁরা ফিরিশতা মানুষের রূপধারণ করে এসেছেন এবং এঁদের পানাহারের কোন প্রয়োজন নেই। সুতরাং তিনি তাঁদেরকে (মানুষ) মেহমান মনে করেন এবং অবিলম্বে মেহমানদের খাতির করার জন্য বাছুরের ভুনা গোশত তাঁদের সম্মুখে উপস্থিত করলেন। এতে বুঝা যায় যে, মেহমানকে জিজ্ঞাসা করা জরুরী নয়; বরং ঘরে যা কিছু আছে তাই মেহমানের সামনে পেশ করা উচিত।