হে আমার সম্প্রদায়! এর বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না। আমার পারিশ্রমিক তো তাঁর জিম্মায় যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তবুও কি তোমরা জ্ঞান-বুদ্ধি খাটাবে না?
হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের রবেবর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর অনুশোচনাভরে তাঁর দিকেই ফিরে যাও, তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদের শক্তিকে আরো শক্তি দিয়ে বাড়িয়ে দিবেন, আর অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিও না।
তারা বলল, ‘হে হূদ! তুমি আমাদের কাছে কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসনি, আর তোমার কথায় আমরা আমাদের উপাস্যগুলোকে ত্যাগ করতে পারি না, আমরা তোমাতে বিশ্বাসী নই।
আমরা এ কথাই বলি যে, তোমার উপর আমাদের কোন উপাস্যের অশুভ ছায়া পড়েছে।’ সে বলল, ‘আমি আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি আর তোমরাও সাক্ষী হও যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাকে তাঁর শরীক কর তার সাথে আমি পুরোপুরি সম্পর্কহীন।
তাঁকে (আল্লাহ) ব্যতীত তোমরা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর আর আমাকে একটুও অবকাশ দিও না।
আমি নির্ভর করি আল্লাহর উপর যিনি আমার আর তোমাদের রব, এমন কোন জীব নেই যার কতৃত্ব তাঁর হাতে নয়, নিশ্চয়ই আমার রব সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত।
এরপরও যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে লও (তবে জেনে রেখ), আমাকে যা দিয়ে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে আমি তো তোমাদের কাছে তা পৌঁছে দিয়েছি, এখন আমার প্রতিপালক তোমাদের স্থলে অন্য সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন আর তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আমার প্রতিপালক সব কিছুর রক্ষণাবেক্ষণকারী।
আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি হূদকে আর তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমার দয়ায় রক্ষা করলাম, আর তাদেরকে বাঁচিয়ে নিলাম এক কঠিন ‘আযাব হতে।
এই হল ‘আদ, তারা তাদের প্রতিপালকের আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিল, আর তাদের রসূলদেরকে অমান্য করেছিল, প্রত্যেক প্রবল পরাক্রান্ত, সত্য-দ্বীনের দুশমনের নির্দেশের তারা অনুসরণ করেছিল।
এ দুনিয়াতে তাদের পিছনে লা‘নত রয়েছে, আর কিয়ামাতের দিনেও। জেনে রেখ, ‘আদ জাতি তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করেছিল। জেনে রেখ! ধ্বংস করা হয়েছিল ‘আদকে যারা ছিল হূদের সম্প্রদায়।