আমি তো তোমাদেরকে এ কথা বলছি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন-ভান্ডারসমূহ আছে। আর আমি অদৃশ্যের খবরও জানি না। আর আমি এ কথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি এ কথাও বলি না যে, তোমাদের চোখ যে সব লোককে অবজ্ঞা করে, আল্লাহ কক্ষনো তাদের কল্যাণ করবেন না। তাদের অন্তরে কী আছে আল্লাহ্ই তা বেশী জানেন। (এ রকম কথা বললে) আমি তো যালিমদের শামিল হয়ে যাবো।
তারা বলল, ‘হে নূহ! তুমি আমাদের সাথে ঝগড়া করেছ, খুব বেশি বেশি ঝগড়া করেছ, এখন যার ভয় আমাদেরকে দেখাচ্ছ তা আমাদের কাছে নিয়ে এসো, যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
নূহ বলল, ‘‘আল্লাহই তা তোমাদের কাছে নিয়ে আসবেন যদি তিনি চান, তোমরা ব্যর্থ করতে পারবে না।
আমি তোমাদের কোন কল্যাণ করতে চাইলেও আমার কল্যাণ কামনা তোমাদের কোন উপকারে আসবে না যদি আল্লাহ তোমাদেরকে পথহারা করতে চান। তিনিই তোমাদের রবব, আর তাঁর কাছেই তোমরা ফিরে যাবে।’’
তারা কি বলে যে, এ লোকই এ সব রচনা করেছে? বল, আমি যদি তা রচনা করে থাকি, তাহলে আমার অপরাধের দায়িত্ব আমার উপর। তোমরা যে অপরাধ করেছ তাত্থেকে আমি মুক্ত।
নূহের কাছে ওয়াহী পাঠানো হয়েছিল যে, যারা ঈমান এনেছে তারা ছাড়া তোমার সম্প্রদায়ের আর কোন লোক কক্ষনো ঈমান আনবে না, কাজেই তারা যা করছে তার জন্য তুমি হা-হুতাশ করো না।
অতএব আমার পর্যবেক্ষণের অধীনে আর আমার ওয়াহী অনুসারে তুমি নৌকা তৈরি কর, আর যারা বাড়াবাড়ি করেছে তাদের ব্যাপারে আমার কাছে কোন আবেদন করো না, তারা অবশ্যই ডুববে।
নূহ নৌকা তৈরি করছিল, আর যখনই তার জাতির প্রধান ব্যক্তিরা তার নিকট দিয়ে যাচ্ছিল, তারা তাকে ঠাট্টা করছিল। সে বলল, ‘তোমরা যদি আমাদেরকে ঠাট্টা কর, তাহলে আমরাও তোমাদেরকে (ভবিষ্যতে) ঠাট্টা করব যেমনভাবে তোমরা (এখন) ঠাট্টা করছ,
তোমরা (শীঘ্রই) জানতে পারবে কার উপর লাঞ্ছনাকর ‘আযাব আসে আর কার উপর আসে স্থায়ী ‘আযাব।
শেষে যখন আমার নির্দেশ এসে গেল, আর তন্দুর (পানিতে) উথলে উঠল, আমি বললাম, ‘প্রত্যেক শ্রেণীর যুগলের দু’টি তাতে তুলে নাও আর তোমার পরিবার পরিজনকে, তাদের ছাড়া যাদের ব্যাপারে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকেও (তুলে নাও)। তার সঙ্গে ঈমান এনেছিল খুব অল্প কয়েকজনই।