Skip to main content

إِلَّا
কিন্তু (ব্যতিক্রম)
ٱلَّذِينَ
(তারা) যারা
صَبَرُوا۟
ধৈর্য ধরেছে
وَعَمِلُوا۟
ও কাজ করেছে
ٱلصَّٰلِحَٰتِ
সৎ
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
لَهُم
তাদের জন্যে (রয়েছে)
مَّغْفِرَةٌ
ক্ষমা
وَأَجْرٌ
ও পুরস্কার
كَبِيرٌ
মহা

কিন্তু যারা ধৈর্যশীল ও নেক ‘আমালকারী তারা ওরকম নয়। আর এরাই হল যাদের জন্য আছে ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান।

ব্যাখ্যা

فَلَعَلَّكَ
তবে যেন তুমি (না)
تَارِكٌۢ
পরিত্যাগকারী (হয়ো)
بَعْضَ
কিছু অংশ
مَا
(তার) যা
يُوحَىٰٓ
ওহী করা হয়েছে
إِلَيْكَ
তোমার প্রতি
وَضَآئِقٌۢ
এবং (যেন না) সংকুচিত করো
بِهِۦ
সম্পর্কে সে
صَدْرُكَ
তোমার মন
أَن
(এজন্যে) যে
يَقُولُوا۟
তারা বলে
لَوْلَآ
"কেন না
أُنزِلَ
অবতীর্ণ করা হলো
عَلَيْهِ
তার উপর
كَنزٌ
ধন ভান্ডার
أَوْ
অথবা
جَآءَ
(কেন না) আসে
مَعَهُۥ
তার সাথে
مَلَكٌۚ
কোন ফেরেশতা"
إِنَّمَآ
মূলতঃ
أَنتَ
তুমি
نَذِيرٌۚ
একজন সতর্ককারী (মাত্র)
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
عَلَىٰ
উপর
كُلِّ
সব
شَىْءٍ
কিছুর
وَكِيلٌ
কর্ম বিধায়ক

তুমি কি তোমার প্রতি যা ওয়াহী করা হয়েছে তার কিছু অংশ পরিত্যাগ করতে চাও আর তোমার মন সংকুচিত করতে চাও তাদের এ কথা বলার কারণে যে ‘‘তার কাছে ধনভান্ডার অবতীর্ণ হয় না কেন, কিংবা তার কাছে ফেরেশতা আসে না কেন?’’ তুমি তো কেবল ভয় প্রদর্শনকারী, যাবতীয় কাজ পরিচালনার দায়িত্ব আল্লাহর।

ব্যাখ্যা

أَمْ
অথবা
يَقُولُونَ
তারা বলে
ٱفْتَرَىٰهُۖ
"তা সে রচনা করেছে"
قُلْ
বলো
فَأْتُوا۟
"তবে তোমরা আনো
بِعَشْرِ
নিয়ে দশটি
سُوَرٍ
সূরা
مِّثْلِهِۦ
তার মতো
مُفْتَرَيَٰتٍ
স্বরচিত
وَٱدْعُوا۟
এবং তোমরা ডাকো
مَنِ
যাকে
ٱسْتَطَعْتُم
তোমরা পারো
مِّن
মধ্য হতে
دُونِ
ছাড়া
ٱللَّهِ
আল্লাহ
إِن
যদি
كُنتُمْ
তোমরা হও
صَٰدِقِينَ
সত্যবাদী"

তারা কি বলে ‘‘সে [অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)] ওটা রচনা করেছে? বল, ‘‘তাহলে তোমরা এর মত দশটি সূরাহ রচনা করে আন, আর (এ কাজে সাহায্য করার জন্য) আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাকে ডাকতে পার ডেকে নাও যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাক ।

ব্যাখ্যা

فَإِلَّمْ
অতঃপর যদি না
يَسْتَجِيبُوا۟
তারা ডাকে সাড়া দেয়
لَكُمْ
তোমাদের
فَٱعْلَمُوٓا۟
তবে তোমরা জেনে রাখো
أَنَّمَآ
মূলতঃ
أُنزِلَ
অবতীর্ণ করা হয়েছে (এই কিতাব)
بِعِلْمِ
অনুসারে জ্ঞান
ٱللَّهِ
আল্লাহর
وَأَن
এবং (এও) যে
لَّآ
নেই
إِلَٰهَ
কোন ইলাহ
إِلَّا
ছাড়া
هُوَۖ
তিনি
فَهَلْ
তবুও কি (না)
أَنتُم
তোমরা
مُّسْلِمُونَ
আত্মসমর্পণকারী (অর্থাৎ মুসলিম হবে)

তারা যদি তোমাদের ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে জেনে নাও যে, আল্লাহর জ্ঞান অনুসারেই তা অবতীর্ণ হয়েছে। আরো জেনে রাখ যে, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। তাহলে এখন কি তোমরা আত্মসমর্পণ করবে?

ব্যাখ্যা

مَن
যে
كَانَ
কেউ
يُرِيدُ
কামনা করে
ٱلْحَيَوٰةَ
জীবন
ٱلدُّنْيَا
পার্থিব
وَزِينَتَهَا
ও তার শোভা-সৌন্দর্য
نُوَفِّ
পূর্ণ ফল দিবো আমরা
إِلَيْهِمْ
তাদেরকে
أَعْمَٰلَهُمْ
তাদের কাজকর্মের
فِيهَا
তার মধ্যে (অর্থাৎ পৃথিবীতে)
وَهُمْ
এবং তাদেরকে
فِيهَا
তার মধ্যে
لَا
না
يُبْخَسُونَ
কম দেয়া হবে

যারা এ দুনিয়ার জীবন আর তার শোভা সৌন্দর্য কামনা করে, তাদেরকে এখানে তাদের কর্মের পুরোপুরি ফল আমি দিয়ে দেই, আর তাতে তাদের প্রতি কোন কমতি করা হয় না।

ব্যাখ্যা

أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
ٱلَّذِينَ
(তারাই) যারা
لَيْسَ
নেই
لَهُمْ
তাদের জন্যে
فِى
মধ্যে
ٱلْءَاخِرَةِ
পরকালের
إِلَّا
এছাড়া
ٱلنَّارُۖ
(জাহান্নামের) আগুন
وَحَبِطَ
এবং পন্ড হয়েছে
مَا
যা
صَنَعُوا۟
তারা করেছে
فِيهَا
তার মধ্যে
وَبَٰطِلٌ
ও অর্থহীন গণ্য হয়েছে
مَّا
যা
كَانُوا۟
তারা ছিলো
يَعْمَلُونَ
কাজকর্ম করে

কিন্তু আখেরাতে তাদের জন্য আগুন ছাড়া কিছুই নাই, এখানে যা কিছু তারা করেছে তা নিষ্ফল হয়ে গেছে, আর তাদের যাবতীয় কাজকর্ম ব্যর্থ হয়ে গেছে।

ব্যাখ্যা

أَفَمَن
তবে কি যে
كَانَ
হয় (প্রতিষ্ঠিত)
عَلَىٰ
উপর
بَيِّنَةٍ
সুস্পষ্ট প্রমাণের
مِّن
পক্ষ হ'তে
رَّبِّهِۦ
তার রবের
وَيَتْلُوهُ
ও তার অনুসরণ করে
شَاهِدٌ
এক সাক্ষী (কুরআন)
مِّنْهُ
তাঁর পক্ষ হ'তে
وَمِن
এবং পূর্বেও
قَبْلِهِۦ
তার (এসেছে)
كِتَٰبُ
কিতাব
مُوسَىٰٓ
মূসার (সাক্ষী হিসেবে)
إِمَامًا
যা পথপ্রদর্শক
وَرَحْمَةًۚ
ও অনুগ্রহস্বরূপ
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐ সব লোক
يُؤْمِنُونَ
ঈমান আনে
بِهِۦۚ
প্রতি তার
وَمَن
আর যে
يَكْفُرْ
অস্বীকার করে
بِهِۦ
তাকে
مِنَ
মধ্যে হ'তে
ٱلْأَحْزَابِ
অন্যান্য দলের
فَٱلنَّارُ
তবে আগুন
مَوْعِدُهُۥۚ
তার প্রতিশ্রুত স্থান
فَلَا
সুতরাং না
تَكُ
তুমি হয়ো
فِى
মধ্যে
مِرْيَةٍ
সন্দেহের
مِّنْهُۚ
তা হ'তে
إِنَّهُ
নিশ্চয়ই তা
ٱلْحَقُّ
প্রকৃত সত্য
مِن
পক্ষ হ'তে
رَّبِّكَ
তোমার রবের
وَلَٰكِنَّ
কিন্তু
أَكْثَرَ
অধিকাংশ
ٱلنَّاسِ
মানুষ
لَا
না
يُؤْمِنُونَ
তারা বিশ্বাস করে

তাহলে যে লোক তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর আছে এবং তাঁর পক্ষ হতে এক সাক্ষী ওটা পড়ে শোনাচ্ছে (সে কি অবিশ্বাসীদের সমান হতে পারে?) আর তার পূর্বে পথ প্রদর্শক ও রহমত স্বরূপ এসেছিল মূসার কিতাব। ওরাই তাতে (অর্থাৎ কুরআনে) বিশ্বাসী। যারাই এটাকে অস্বীকার করবে, জাহান্নামই হল তাদের প্রতিশ্রুত স্থান। কাজেই এ সম্পর্কে তুমি কোন প্রকার সন্দেহে নিপতিত হয়ো না। এটা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আগত প্রকৃত সত্য, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না।

ব্যাখ্যা

وَمَنْ
এবং কে
أَظْلَمُ
বড় সীমালঙ্ঘনকারী (হ'তে পারে)
مِمَّنِ
তার চেয়ে যে
ٱفْتَرَىٰ
রচনা করে
عَلَى
সম্বন্ধে
ٱللَّهِ
আল্লাহর
كَذِبًاۚ
মিথ্যা
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোককে
يُعْرَضُونَ
উপস্হিত করা হবে
عَلَىٰ
কাছে
رَبِّهِمْ
তাদের রবের
وَيَقُولُ
এবং বলবে
ٱلْأَشْهَٰدُ
সাক্ষীরা
هَٰٓؤُلَآءِ
"এসব লোকই
ٱلَّذِينَ
(তারা) যারা
كَذَبُوا۟
মিথ্যা বলেছে
عَلَىٰ
বিরুদ্ধে
رَبِّهِمْۚ
তাদের রবের"
أَلَا
সাবধান
لَعْنَةُ
অভিশাপ
ٱللَّهِ
আল্লাহর
عَلَى
উপর
ٱلظَّٰلِمِينَ
(সেই) সীমালঙ্ঘনকারীদের

যারা আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে তাদের থেকে বড় যালিম আর কে হতে পারে? তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত করা হবে আর সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিবে যে, এই লোকরাই তাদের রব্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলেছিল। শুনে রেখ! আল্লাহর অভিশাপ সেই যালিমদের উপর

ব্যাখ্যা

ٱلَّذِينَ
যারা
يَصُدُّونَ
বাধা দেয়
عَن
থেকে
سَبِيلِ
পথ
ٱللَّهِ
আল্লাহর
وَيَبْغُونَهَا
ও তাতে খোঁজ করে
عِوَجًا
দোষত্রুটি/বক্রতা
وَهُم
এবং তারা
بِٱلْءَاخِرَةِ
প্রতি আখিরাতের
هُمْ
তারাই
كَٰفِرُونَ
অবিশ্বাসী

যারা আল্লাহর পথ হতে লোকেদেরকে ফিরিয়ে রাখে আর তাকে বক্র করতে চায়, আর তারা আখিরাতকে অস্বীকার করে।

ব্যাখ্যা

أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
لَمْ
না
يَكُونُوا۟
তারা ছিলো (সক্ষম)
مُعْجِزِينَ
(আল্লাহ-কে) অক্ষমকারী
فِى
মধ্যে
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
وَمَا
এবং না
كَانَ
ছিলো
لَهُم
তাদের জন্যে
مِّن
থেকে
دُونِ
ছাড়া
ٱللَّهِ
আল্লাহ
مِنْ
কোন
أَوْلِيَآءَۘ
অভিভাবক
يُضَٰعَفُ
দ্বিগুণ করা হবে
لَهُمُ
তাদের জন্যে
ٱلْعَذَابُۚ
শাস্তি
مَا
না
كَانُوا۟
ছিলো
يَسْتَطِيعُونَ
তারা সক্ষম
ٱلسَّمْعَ
শুনতে
وَمَا
এবং না
كَانُوا۟
ছিলো (সক্ষম)
يُبْصِرُونَ
তারা দেখতে

দুনিয়াতে তারা আল্লাহকে অক্ষম করে দিতে পারত না, আর আল্লাহ ছাড়া তাদের কোন সাহায্যকারীও ছিল না, তাদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে। তারা না শুনতে পারত, আর না দেখতে পারত।

ব্যাখ্যা