আমি তাদের উপর যুলম করিনি বরং তারাই নিজেদের উপর যুলম করেছিল, কিন্তু তোমার প্রতিপালকের হুকুম যখন এসে গেল, তখন আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যেসব ইলাহকে ডাকত ওগুলো তাদের কোনই কাজে আসল না, তারা ধ্বংস ছাড়া কিছুই বৃদ্ধি করতে পারল না।
তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও এ রকমই হয়ে থাকে যখন তিনি পাকড়াও করেন কোন জনপদকে যখন তারা যুলমে লিপ্ত থাকে। অবশ্যই তাঁর পাকড়াও ভয়াবহ, বড়ই কঠিন।
এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে তার জন্য যে আখেরাতের শাস্তিকে ভয় করে। এটা এমন দিন, যে দিনের জন্য সব মানুষকে একত্রিত করা হবে, এটা হাযির হওয়ার দিন।
আমি একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাকে বিলম্বিত করি মাত্র।
সে দিন যখন আসবে তখন তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ মুখ খুলতে পারবে না, তাদের কেউ হবে হতভাগা, আর কেউ হবে সৌভাগ্যবান।
যারা হতভাগা হবে তারা জাহান্নামে যাবে, সেখানে তাদের জন্য আছে হা-হুতাশ আর আর্ত চীৎকার।
সেখানে তারা স্থায়ী হবে চিরকালের জন্য যে পর্যন্ত আকাশসমূহ ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকবে যদি না তোমার প্রতিপালক অন্য কিছু ইচ্ছে করেন। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই করতে সক্ষম যা তিনি করতে চান।
আর যারা সৌভাগ্যবান হবে, তারা জান্নাতে স্থায়ী হবে যে পর্যন্ত আকাশসমূহ ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকবে, যদি না তোমার প্রতিপালক অন্য রকম ইচ্ছে করেন। এ হল এক অব্যাহত পুরস্কার।
কাজেই তারা যেগুলোর ‘ইবাদাত করে সেগুলোর ব্যাপারে সন্দেহে পতিত হয়ো না। তারা যেগুলোর ‘ইবাদাত করে সেগুলো তা ছাড়া আর কিছুই নয় যেগুলোর ‘ইবাদাত পূর্বে তাদের পিতৃপুরুষরা করত, আমি অবশ্যই তাদের প্রাপ্য অংশ তাদেরকে পূর্ণ মাত্রাতেই দেব, কোনই কমতি করা হবে না।
ইতোপূর্বে আমি মূসাকেও কিতাব দিয়েছিলাম, কিন্তু তাতেও মতবিরোধ করা হয়েছিল। তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটি কথা যদি আগেই বলে দেয়া না হত, তাহলে তাদের মাঝে অবশ্যই ফায়সালাই ক’রে দেয়া হত, এ ব্যাপারে তারা অবশ্য সন্দেহপূর্ণ সংশয়ে পড়ে আছে।