তারা বলল, ‘হে শু‘আয়ব! তুমি যা বল তার অনেক কথাই আমরা বুঝি না, আমরা আমাদের মধ্যে তোমাকে অবশ্যই দুর্বল দেখছি, তোমার গোত্র না থাকলে আমরা তোমাকে অবশ্যই পাথর নিক্ষেপ ক’রে মেরে ফেলতাম, আমাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতাই নেই।
সে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমার স্বজনরা কি তোমাদের কাছে আল্লাহর চেয়েও প্রবল! তোমরা তো তাঁকে সম্পূর্ণতঃ পেছনে ফেলে রেখেছ, তোমরা যা করছ আমার প্রতিপালক তা সব কিছুই অবগত।’
হে আমার সম্প্রদায়! ‘তোমরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাজ করতে থাক, আমিও আমার কাজ করতে থাকি, তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কার উপর আসবে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি আর কে মিথ্যেবাদী। কাজেই তোমরা অপেক্ষায় থাক, আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় থাকলাম।’
আমার হুকুম যখন আসলো, তখন আমি আমার দয়ায় শু‘আয়ব আর তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে বাঁচিয়ে দিলাম। আর যারা যুলম করেছিল তাদেরকে এক প্রচন্ড শব্দ আঘাত হানল যার ফলে তারা নিজেদের গৃহে নতজানু হয়ে পড়ে রইল।
(এমনভাবে) যেন তারা সেখানে কোনদিনই বসবাস করেনি। জেনে রেখ, মাদইয়ানবাসীদেরকে দূরে নিক্ষেপ করা হল, যেমনভাবে দূরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল সামূদজাতিকে।
আমি মূসাকে পাঠিয়েছিলাম আমার নিদর্শন আর স্পষ্ট প্রমাণ সহকারে
ফির‘আওন আর তার প্রধানদের কাছে, কিন্তু তারা ফির‘আওনের হুকুমই মেনে নিল, আর ফির‘আওনের হুকুম সত্য নির্ভর ছিল না।
ক্বিয়ামাতের দিন সে তার সম্প্রদায়ের পুরোভাগে থাকবে আর তাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দেবে, কতই না নিকৃষ্ট এ অবতরণ স্থল যাতে তারা উপনীত হবে।
এ দুনিয়াতেও অভিশাপ তাদের পেছনে ছুটছে আর ক্বিয়ামাতের দিনেও। কত নিকৃষ্টই না সে পুরস্কার যা তাদেরকে দেয়া হবে।
এ হল জনপদসমূহের কিছু খবরাদি যা আমি তোমার নিকট বর্ণনা করলাম, তাদের কতক এখনও দাঁড়িয়ে আছে আর কতক কর্তিত ফসলের দশা প্রাপ্ত হয়েছে।