فَكَذَّبُوْهُ فَنَجَّيْنٰهُ وَمَنْ مَّعَهٗ فِى الْفُلْكِ وَجَعَلْنٰهُمْ خَلٰۤىِٕفَ وَاَغْرَقْنَا الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَاۚ فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنْذَرِيْنَ ( يونس: ٧٣ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
কিন্তু তারা তাকে মিথ্যে বলে অমান্য করল। তখন আমি তাকে আর তার সঙ্গে যারা নৌকায় ছিল তাদেরকে রক্ষা করলাম আর তাদেরকে (পৃথিবীতে) উত্তরাধিকারী বানালাম, আর যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যে ব’লে অমান্য করেছিল তাদেরকে ডুবিয়ে মারলাম। এখন দেখ যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল (তারা সতর্ক না হওয়ায়) তাদের কী পরিণাম ঘটেছিল।
English Sahih:
And they denied him, so We saved him and those with him in the ship and made them successors, and We drowned those who denied Our signs. Then see how was the end of those who were warned.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
অতঃপর তারা তাকে মিথ্যুক মনে করল,[১] অতএব আমি তাকে এবং যারা তার সাথে নৌকায় ছিল, তাদেরকে উদ্ধার করলাম ও তাদেরকে প্রতিনিধি বানালাম।[২] আর যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা জ্ঞান করেছিল, তাদেরকে ডুবিয়ে মারলাম। সুতরাং দেখ, যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের পরিণাম কি হয়েছিল?
[১] অর্থাৎ, নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায় সব রকমের ওয়ায-নসীহত শোনার পরেও মিথ্যাজ্ঞান করা থেকে বিরত থাকল না। সুতরাং আল্লাহ তাআলা নূহ (আঃ) ও তাঁর প্রতি ঈমান আনয়নকারীদেরকে নৌকায় আরোহণ করিয়ে বাঁচিয়ে নিলেন এবং বাকি সকলকে, এমনকি নূহ (আঃ)-এর একজন পুত্রকেও ডুবিয়ে মারলেন।
[২] অর্থাৎ সেই সময় যারা জীবিত ছিল, তাদেরকে তাদের পূর্বের মানুষদের স্থলাভিষিক্ত করলাম। মানুষের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের বংশ থেকেই, বিশেষ করে নূহ (আঃ)-এর তিন পুত্র থেকে বিস্তার লাভ করেছে। এই জন্য নূহ (আঃ)-কে দ্বিতীয় আদম বলা হয়।