قُلْ مَنْ يَّرْزُقُكُمْ مِّنَ السَّمَاۤءِ وَالْاَرْضِ اَمَّنْ يَّمْلِكُ السَّمْعَ وَالْاَبْصَارَ وَمَنْ يُّخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَمَنْ يُّدَبِّرُ الْاَمْرَۗ فَسَيَقُوْلُوْنَ اللّٰهُ ۚفَقُلْ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ ( يونس: ٣١ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তাদের জিজ্ঞেস কর, ‘আকাশ আর যমীন হতে কে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করে? কিংবা শ্রবণশক্তি ও দর্শনশক্তি কার মালিকানাধীন? আর মৃত থেকে জীবিতকে কে বের করেন আর কে মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন? যাবতীয় বিষয়ের শাসন ও নিয়ন্ত্রণ কার অধীনস্থ?’ তারা বলে উঠবে, ‘‘আল্লাহ’’। তাহলে তাদেরকে বল, ‘তবুও তোমরা তাক্বওয়াহ অবলম্বন করবে না?’
English Sahih:
Say, "Who provides for you from the heaven and the earth? Or who controls hearing and sight and who brings the living out of the dead and brings the dead out of the living and who arranges [every] matter?" They will say, "Allah," so say, "Then will you not fear Him?"
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তুমি বল, ‘তোমাদেরকে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী হতে রুযী দান করে কে? অথবা কর্ণ ও চক্ষুসমূহের মালিক কে? আর মৃত হতে জীবন্ত এবং জীবন্ত হতে মৃত বের করে কে? আর সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে কে?’ তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’[১] অতএব তুমি বল, ‘তাহলে কেন তোমরা সাবধান হও না?’
[১] এই আয়াত দ্বারাও পরিষ্কার বুঝা যায় যে, মুশরিকরা আল্লাহ তাআলাকে মালিক, সৃষ্টিকর্তা, প্রতিপালক এবং তাঁকে বিশ্ব-পরিচালক হিসাবে স্বীকার করত। কিন্তু স্বীকারের পরেও যেহেতু তারা তাঁর একতত্ত্ববাদে অন্যদেরকে শরীক করত, তার ফলে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জাহান্নামের জালানী বলে ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে অনেক ঈমানের দাবীদারও উক্ত তওহীদে উলুহিয়্যার অস্বীকারকারী। "তাদের অন্তরগুলি পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।" আল্লাহ তাদেরকে হিদায়াত করুন। আমীন।