তাহলে ওটা বাস্তবে ঘটে যাওয়ার পরই কি তোমরা তাতে বিশ্বাস করতে চাও? (ঘটে যাওয়ার পর বলা হবে) ‘এখন, (বিশ্বাস করলে) এটার জন্য তোমরা তাড়াহুড়ো করছিলে!’
অবশেষে যালিমদেরকে বলা হবে- ‘স্থায়ী শাস্তির স্বাদ গ্রহণ কর, তোমরা যা কিছু উপার্জন করেছিলে তার প্রতিফল ছাড়া তোমাদের আর কী দেয়া যেতে পারে!
তারা তোমার কাছে জানতে চায় (তুমি যা বলছ) সেগুলো কি প্রকৃতই সঠিক? বল-‘হাঁ, আমার রবের কসম! তা একবারেই সত্য। তোমরা তা বানচাল করতে পারবে না।
যুলম করেছে এমন প্রত্যেকেই দুনিয়াতে যা কিছু আছে যদি তা সব তার হত তবে সে বিনিময়ে তা প্রদান করে ‘আযাব হতে বাঁচতে চাইত। তারা যখন ‘আযাব প্রত্যক্ষ করবে তখন মনের দুঃখ-তাপ গোপন করবে। ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা করা হবে। তাদের প্রতি কোন প্রকার যুলম করা হবে না।
জেনে রেখ, আসমানসমূহ আর যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর। জেনে রেখ, আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ (এ সকল বিষয়) জানে না।
তিনি জীবন দান করেন, তিনিই মৃত্যু দেন, আর তাঁর দিকেই তোমরা ফিরে যাবে।
হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমাদের কাছে এসেছে নাসীহাত আর তোমাদের অন্তরে যা আছে তার নিরাময়, আর মু’মিনদের জন্য সঠিক পথের দিশা ও রহমাত।
বল, আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ার বদৌলতে (তা এসেছে), এজন্য তারা আনন্দিত হোক। তারা যা স্তুপীকৃত করছে তার চেয়ে তা (অর্থাৎ হিদায়াত ও রহমাতপূর্ণ কুরআন) উত্তম।
বল-তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাহ যে রিযক তোমাদের জন্য পাঠিয়েছেন, তোমরা তার কতকগুলোকে হারাম আর কতককে হালাল করে নিয়েছ। বল, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এর অনুমতি দিয়েছেন? না তোমরা আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছ?
যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যোরোপ করে, কিয়ামাতের দিন (আল্লাহ তাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করবেন সে) সম্পর্কে তাদের কী ধারণা? আল্লাহ তো মানুষদের উপর বড়ই অনুগ্রহশীল, কিন্তু তাদের অধিকাংশই আল্লাহর শোকর করে না।